শ্বশুরের মামলায় জামাই কারাগারে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২০; সময়: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ |
শ্বশুরের মামলায় জামাই কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : শশুরের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় কারাগারে রয়েছে জামাই। প্রায় ১৯ বছর ঘর সংসারের পর স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে শশুরের দায়ের করা মামলায় কারাগারে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের জয়েন্দিপুরের বদুরুদ্দিন মন্ডলের ছেলে এমাদুল হক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কারাবন্দি এমাদুল হকের শশুর বজলুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন সদন মডেল থানার এসঅই সমর চন্দ্র আচার্য।

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে, যৌতুকের ২ লাখ টাকা তার বাড়ী থেকে এনে দিতে অপরগতায় প্রকাশ করায় মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। ১৯ নভেম্বর রাত দুইটার দিকে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন জালিয়ে দেয়ায় তার মেয়ে আয়েসা বেগম মারাত্মক পোড়া যখম হয়।

এ মামলায় সূত্রধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, এটি পুড়িয়ে মারার ঘটনা নয়, আত্মহত্যার চেষ্টা ছিল। গভীর রাতে বাড়িতে ফেরায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী এমাদুলকে একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আয়েসা বেগম। তাদের ১০ বছরের ছেলে শাওন বাবাকে আটকে রাখা ঘরের দরজা খুলে দিলে এমাদুল হক আগুন নিভিয়ে স্ত্রীর জীবন রক্ষা করে।

প্রতিবেশী, ছেলে শাওন ও আত্মীয়দের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এমনকি স্বামী এমাদুল হকই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে এ ঘটনার ২৩ দিন পর ১২ ডিসেম্বর তার শশুর জামায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ১২ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছে এমাদুল হক।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি বজলুর রহমান বিশ্বাসের কাছে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, অভিযোগটি গুরুত্বর হওয়ায় মামলা হিসেবে নথীভূক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, সত্য উদঘাটন করেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে