সেলফি আসক্তিতে সর্বনাশ!
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সেলফি ছাড়া এখন সকালটাও যেন শুরু হতে চায় না। আপনি হুটহাট সেলফি তুলতে চান? বলি, একটু দাঁড়ান। গবেষকদের দিকে চোখ বাড়ান। তাদের মতে, আপনি যদি স্মার্টফোনে বারবার নিজের ছবি তুলে দেখেন তবে আপনার জন্য এই বিপদ সংকেতথ
অক্সফোর্ড অভিধানে
অক্সফোর্ড অভিধানে ‘সেলফি’কে খুঁজে পাওয়া যায় এভাবে- একটি আলোকচিত্র, যা নিজেরই তোলা নিজের প্রতিকৃতি, সাধারণত স্মার্টফোন বা ওয়েব ক্যামে ধারণ করা এবং তা যে কোনো সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা হয়। তাদের মতে, ২০০২ সালে একটি অনলাইন ফোরাম প্রথম সেলফি শব্দ ব্যবহার করেছিল।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অতিরিক্ত সেলফির অভ্যাসের সঙ্গে মানসিক ব্যাধির সম্পর্ক থাকতেই পারে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা। নিজের চেহারার প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ অনুভব করা এক ধরনের মানসিক সমস্যা। এতে করে আপনি নিজের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারেন।
সেলফিটিস
এপিএ বা আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি মানসিক ব্যাধির সঙ্গে সেলফির সম্পর্কটা নিশ্চিত করেছে। তাদের দাবি, নিজের ছবি মাত্রাতিরিক্ত তোলার প্রবণতা এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ার যেই মানসিকতা সেই রোগটির নাম সেলফিটিস।
তিনটি স্তর
সেলফিটিস ব্যাধির তিনটি স্তর হতে পারে। যেমন-বর্ডার লাইন সেলফিটিস : এটা প্রথম ধাপ। এতে যারা আসক্ত তারা দিনে তিনবার নিজের ছবি তোলে, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা পোস্ট করে না।
অ্যাকিউট সেলফিটিস : এটা তুলনামূলক ভয়াবহ। এতে যারা আসক্ত তারা দিনে কমপক্ষে তিনটি নিজের সেলফি তুলে। আর তোলাতেই শেষ নয়, তিনটি ছবিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে।
ক্রনিক সেলফিটিস : চূড়ান্ত ভয়াবহ এই পর্যায়ের লোকরা। এদের কোনোভাবেই সেলফি তোলা থেকে বিরত রাখা যায় না। দিনে সর্বনিম্ন এরা ছয়বার সেলফি তুলে এবং সব ছবিই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে।
নার্সিসিজম ও আসক্তি
তবে গবেষকরা এই মানসিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠার কোনো পথ বাতলাতে পারেননি। কিন্তু সাময়িকভাবে কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি কাজে লাগতে পারে বলে মনে করেন তারা। মানসিক রোগের চিকিৎসকরা অতিরিক্ত সেলফি তোলার সঙ্গে নার্সিসিজম ও আসক্তির সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করেন।
সেলফি পিল
সেলফিতে মারাত্মকভাবে আসক্তদের জন্য বাজারে এসেছে ‘অ্যান্টি-সেলফি ট্যাব’। এই ট্যাবলেট পুরুষদের দিনে একটি এবং নারীদের দিনে পাঁচটি পর্যন্ত খেতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পিলের প্রতিটি বক্সের দাম ১৫.২২ ডলার।