বিমান ভাড়াই ২ কোটি
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : উপমহাদেশের অন্য দেশ যেমন- ভারত, শ্রীলঙ্কা; এমনকি নেপাল, ভুটানে যেতে সরাসরি ফ্লাইট থাকলেও ঢাকা থেকে পাকিস্তানে যেতে হয় ঘোরা পথে। একটি ট্রানজিট নিয়ে পরে সেখান থেকে কানেকটিং ফ্লাইট ধরে পাকিস্তানের করাচি ও লাহোরের মতো শহরগুলোতে পৌঁছতে হয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ট্রানজিট হয় কলম্বো, ব্যাংকক, দুবাই ও দোহা। বিসিবির সঙ্গে যেহেতু কাতার এয়ারওয়েজের চুক্তি আছে, তাই বাংলাদেশ দল লাহোর যাবে দোহা হয়ে। ঘোরা পথে যেতে দূরত্ব ও সময় বাড়ছে দ্বিগুণ। ঢাকা থেকে লাহোরের দূরত্ব ১৮০০ কিলোমিটারের বেশি নয়। দোহা হয়ে যেতে হচ্ছে বলে বাংলাদেশ দলকে পাড়ি দিতে হবে ৮ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ। ঢাকা থেকে দোহা যেতে লাগবে ৫ ঘণ্টা। দোহা থেকে লাহোর প্রায় একই সময়- ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। আর দোহায় ট্রানজিট থাকছে ২ থেকে ৫ ঘণ্টা।
মজাটা হচ্ছে, কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট কিন্তু পাকিস্তানের ওপর দিয়েই যাবে। অর্থাৎ পশ্চিমে রওনা দিয়ে আবার পুবে ফিরে আসা! সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে লাহোরে যেতে লাগবে অন্তত ১২-১৩ ঘণ্টা। বাংলাদেশ দলকে জটিল এই ভ্রমণটা চার মাসে করতে হবে তিনবার। ভৌগোলিক দূরত্বে পাকিস্তান খুব বেশি দূরে না হলেও জটিল ফ্লাইটের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এ ভ্রমণ হবে চূড়ান্ত ক্লান্তিকর। তিনবার যাওয়া-আসা করায় বিসিবির বিমান খরচটাও নেহাত কম নয়। দুই বোর্ডের সমঝোতা (এমওইউ) অনুযায়ী, যেকোনো সিরিজ খেলতে গেলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ভাড়া সফরকারী দলকেই বহন করতে হয়। পাকিস্তান সফরে বিসিবিকে তাই বিমানভাড়ায় খরচ করতে হবে ২ কোটি টাকারও বেশি।