রামেকে করোনা প্রতিরোধে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সতর্কতামূলক আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য হাসপাতালে খোলা হয়েছে দুইটি ইউনিট। হাসপাতালের ১৬ ও ১৭ নম্বর কেবিনে পাঁচটি বেড স্থাপন করে এই ইউনিট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ নম্বর কেবিনে তিনটি ও ১৬ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে দুইটি বেড। এ ছাড়াও করোনা ভাইরাসের উপর তিনজন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই মোতাবেক দুইটি কেবিনে এই ইউনিট খোলা হয়েছে। আর এই ইউনিটে হাসপাতালের সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকরা থাকবেন রোগিদের সেবা দিতে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের উপর তিনজন চিকিৎসকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ নিতে তারা ঢাকায় যাবেন।
রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমান খান বাদশা বলেন, এটি সাধারণ একটি ভাইরাস রোগ। সর্দি, কাশি ও অন্যান্য কারণে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে বাংলাদেশে এই ভাইরাস নিয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত নয় চিকিৎসকরা। কারণ ভাইরাসের সাধারণ একটি মৌসুম থাকে, মৌসুম শেষ হলে ভাইরাস মরে যায়। চীনে এখন ভাইরাসটি কিছুটা কমে যাচ্ছে। মৌসুম শেষ হলে সাধারণ এক মাসের মাথায় ভাইরাসটি তেমন ভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে না, মরে যায়।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের চেয়ে অনেক দূরে। এখন কিছু মানুষ আক্রান্ত হলে ভারতে হতো। কারণ ভারত তাদের সীমান্ত রাষ্ট্র। ভারতে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশের জন্য বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ থাকতো। কিন্তু বাংলাদেশের পেক্ষাপট এখন একটু ভিন্ন।
ডা. মাহাবুবুর আরো বলেন, রাজশাহীর বিষয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবু রামেক হাসপাতাল এ নিয়ে সকল প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা ভাইরাস রোগিদের সেবা দেয়ার জন্য তারা আতঙ্কিত নয়।