সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত ‘ডিপফ্রিজে’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০; সময়: ১:২০ অপরাহ্ণ |
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত ‘ডিপফ্রিজে’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ২০১২ সালের পর ৮ বছর পার হয়ে গেছে। অথচ সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্ত এখনও শেষ করতে পারেনি র‌্যাব। কোথায় থমকে আছে মামলার তদন্ত, কেন ডিপফ্রিজে গেলো সাংবাদিক দম্পতি খুনের এই মামলা? এমন প্রশ্ন ২ পরিবারের স্বজন ও সহকর্মীদের। তবে এসব প্রশ্নে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছে তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।

সাগর-রুনি খুনের পর পরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে ৯৬ মাসে এসে ঠেকেছে। কিন্তু এখনো কী কারণে, কারা খুন করেছে এ তথ্য উদঘাটন হয়নি।

হত্যাকান্ডের ২ মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় র‌্যাব। এরপর একে একে ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা তো দূরের কথা, র‌্যাব তদন্তই শেষ করতে পারেনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আদালত থেকে ৭১ বার সময় নিয়েছে তারা।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে ২ জন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া যায়। তবে গত ৩ বছর ধরে ওই ২ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম বলছেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি তদন্ত শেষ করতে। ঘটনাস্থলে দু’জন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। মামলাটির তদন্ত দ্রুত শেষ হওয়ার আশা করছি। আদালতে দ্রুত চার্জশিট দেয়ার কথা জানান তিনি।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিনও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম তা দাখিল করেননি। এজন্য আদালত আগামী ২৩ মার্চ তদন্ত প্রতিবেন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

বারবার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়াকে দুঃখজনক বলছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। কেন প্রতিবেদন জমা দিতে পারছে না তদন্তকারীরা তার উত্তর পাওয়া যায়নি। কারণ এ বিষয়ে কথা বলতে চান না র‌্যাবের কোন কর্মকর্তা। সাগর ও রুনির পরিবার এবং সহকর্মীরাও হতাশ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ ৮ জনকে। এদের মধ্যে তানভীরসহ দু’জন জামিনে আছেন। বাকিরা কারাগারে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে