রমজানে চাহিদা মেটাবে দেশীয় পেঁয়াজ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজার দর অনেক বেশি হওয়ায় ভালো লাভের আশায় পেঁয়াজের আবাদ বেড়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। শুধু তাই নয়, কৃষকরা একই জমিতে বছরে দুইবার করছেন পেঁয়াজ চাষ। আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি নয়, রমজানে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজেই চাহিদা মেটানোর আশা কৃষি বিভাগের।
এবার ১৬ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে, যা গেল বছরের চেয়ে ১ এক হাজার ২০০ হেক্টর বেশি। এ থেকে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন।
পবা উপজেলার বড়গাছি গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ রুবেল। তিনি আগে এক জমিতে বছরে একবার করতেন পেঁয়াজের আবাদ। কিন্তু এবার দাম বেশি পাওয়ায় করেছেন দু’বার। তিনি একা নন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় গ্রামের প্রায় সব চাষি বাড়িয়েছেন পেঁয়াজের চাষ। রুবেল বলেন, পেঁয়াজের দাম পেয়েছি ভালো। তাই আবারও পেঁয়াজ চাষ করেছি।
পেঁয়াজ চাষিরা বলেন, এবার প্রত্যেকে বেশি করে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আমরা দেশে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারি তাহলে আমাদের পেঁয়াজের দামও ভালো পাব। আর দেশের পেঁয়াজ দেশের মানুষ কিনতে পারবেন।
ভালো উৎপাদন আর দাম পেতে পেঁয়াজ ক্ষেতে বেড়েছে চাষিদের ব্যস্ততা। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সবুজ সতেজ পেঁয়াজের জমিতে চলছে পরিচর্যার কাজ। বীজ, সারসহ নানা কিছু প্রয়োগ করে ভালো ফলনের প্রত্যাশা তাদের। তবে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ক্ষতির শংকা চাষিদের।
পেঁয়াজ চাষিরা আরও বলেন, দামটা একটু বেশি পাব। যদি বাংলাদেশ বাহির থেকে পেঁয়াজ না আনে তাহলে আমরা ভালো টাকা পাব। আর চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের ভালো ফলনের প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের। রমজানে অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন পড়বে না বলে মনে করেন কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো শামসুল হক বলেন, পেঁয়াজের অবস্থা ভালো। রমজানের আগে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। দেশীয় পেঁয়াজে মানুষের চাহিদা পূরণ হবে।