অবৈধ মোবাইল সেটগুলো নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হচ্ছে

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২০; সময়: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ |
অবৈধ মোবাইল সেটগুলো নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হচ্ছে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : গত বছরের ১ অগাস্ট থেকে যে সব ক্লোন বা নকল আইএমইআই সম্বলিত এবং অবৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রয়েছে, সেগুলো নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বিটিআরসি।

বিটিআরসিতে খুব ‍শিগগিরই স্থাপিত হতে যাচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)’। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। মোবাইল সেট কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে শনিবার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

২০১৯ সালের ২৯ জুলাই বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে সেটটির বৈধতা আইএমইআই এর মাধ্যমে যাচাই করে কেনা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রয় রশিদ নিয়ে তা সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

একই অনুরোধ পুনরায় জানিয়ে বিটিআরসি বলেছে, মোবাইল ফোনের কেনার সময় মেসেজ অপশনে গিয়ে কণউ<ংঢ়ধপব> ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ তে পাঠাতে হবে।

মোবাইল ফোনের বক্সে বা প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#০৬# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষকিভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যায়।

বৈধ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ক্রয়ে এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছে বিটিআরসি।

দেশে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

দেশে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিটিআরসি।

২০১২ সালে বিটিআরসি এ উদ্যোগ নেওয়ার প্রায় ৮ বছর পর এ প্রযুক্তি বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেটে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম কাজ করবে না। নির্দিষ্ট সময় পর কোনো সিমই কাজ করবে না। ফলে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করবেন।

সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে।

নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।

বিদেশ থেকে ক্রয় করা হ্যান্ডসেটের বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত হতে পারে- জানতে চাইলে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদেশ থেকে যারা হ্যান্ডসেট নিয়ে এসেছেন বা আনবেন তারা প্রয়োজনীয় দলিলাদি ( ক্রয় রশিদ বা অন্যান্য) দেখিয়ে তা বৈধ করতে পারবেন। এনইআইআর পরিচালনা পদ্ধতিতে এ সুযোগ থাকবে।“

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে