ফোনে করোনাভাইরাস সক্রিয় থাকতে পারে চার দিন

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২০; সময়: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ |
ফোনে করোনাভাইরাস সক্রিয় থাকতে পারে চার দিন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লুইএফ) থেকে জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোন যদি করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসে তবে তাতে চার দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তাই মোবাইল ফোন ঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্লাস্টিক বা স্টেনলেস স্টিলে করোনাভাইরাস কয়েক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ডব্লুইএফ। তাই ফোন ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। সেই সঙ্গে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে হাত।

প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, কাচে সার্স ভাইরাস সক্রিয় থাকতে পারে ৯৬ দিন। করোনা ভাইরাস সার্সের মতোই।

সংবাদ সংস্থা এএফপি টুইট করে জানিয়েছে, কোনো মেটাল, রাবার ও প্লাস্টিকের ওপর করোনাভাইরাস ১ থেকে ৯ দিন সক্রিয় থাকে। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ইথানল ও সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের সংস্পর্শে এলে এক মিনিট পর্যন্ত এই ভাইরাসের সক্রিয়তা নষ্ট হয়।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কাশি, সর্দির মাধ্যমে হ্যান্ডেল, হ্যান্ডসেটের মতো পদার্থে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার জীবাণু। তা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সেখানে থেকে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তারের জন্য ফোন পেট্রি ডিশ (ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত এক ধরনের ছোট গোল স্বচ্ছ পাত্র) হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।

এজন্য দিনে দুবার অ্যালকোহল মিশ্রিত টিস্যু দিয়ে ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সাউথহ্যাম্পটনের অধ্যাপক উইলিয়াম কেভিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আপনি হাত ধুয়ে নিলেন ঠিকই, কিন্তু যখন স্মার্টফোন নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করলেন এবং মুখে হাত নিলেন, তখনই আপনার শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।’

দিনে দুবার ফোন জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর অধ্যাপক পেটার হল। তার মতে, অন্তত দুপুরে খাওয়ার সময় ও চা পান করার সময় ফোন পরিষ্কার করা উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ভাইরাস ধ্বংসের জন্য অ্যালকোহল মিশ্রিত টিস্যু (অ্যালকোহল ওয়াইপস) খুবই কার্যকর।

তবে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল বলছে, ফোনের স্ক্রিন জীবাণুমুক্ত করার জন্য মাইক্রোফাইবার ক্লথ (এক ধরনের তোয়ালে) ও সোপি ওয়াটার (সাবান পানি) ব্যবহার করা উচিত।

মোবাইল ফোন, কাচজাতীয় অন্যান্য জিনিস স্পর্শ করার পর কিছু নিয়ম মেনে চললে করোনাভাইরাস থেকে এড়িয়ে চলা সম্ভব:

হাঁচি, কাশির সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে। পরে সেগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। না হলে হাত মুড়ে কনুইয়ের অংশ দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচতে বা কাশতে হবে।

সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হাত ধোয়ার দ্রব্য দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে হাত ধুতে হবে। চোখ, মুখ, নাকে হাত দেওয়া যাবে না। হাঁচি, কাশি হচ্ছে এমন লোকজন থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে