কিস্তির চাপে দিশেহারা রাজশাহীর নিম্ন আয়ের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়ছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে সবাই প্রয়োজনের চেয়েও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছেন। ব্যক্তি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাজশাহী শহর। খুব প্রয়োজন ছাড়া সারাদিন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই।
রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ সকল দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেও তাদের চোখমুখে আতঙ্কের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মহানগর এলাকায় অটোরিকশার চালকরা যাত্রী পাচ্ছেন না। বাজারেও জনসমাগম কমছে। কাজ করেছে দিন মুজুরদের।
কিন্তু রাজশাহীর করোনা আতংকিত মানুষের পিছু ছাড়ছে না এনজিওগুলো। আশা, ব্রাক, বুরো, গ্রামীণ ব্যাংক, টিএমএস, শাপলাসহ বিভিন্ন এনজিও তাদের কিস্তি আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। কিস্তি আদায়ে চাপ সৃষ্টিরও অভিযোগ উঠেছে এসব এনজিওর কর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে ঋণগ্রহীতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। এসব মানুষ ঘরবন্দি হলেও তাদের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায় বন্ধ করেনি এনজিওর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সুদের হার বৃদ্ধি পাবে মর্মে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে নিরুপায় হয়েই মানুষ ধারদেনা করে অতিকষ্টে এনজিওর কিস্তি দিতে হচ্ছে ঋণগ্রহীতাদের। এরপরও অল্পসংখ্যক সদস্য সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে না পারলেও দু-একদিন পরই কিস্তি আদায় করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে।
ঋণগ্রহীতারা জানান, করোনা আতংকিত হয়ে ফাঁকা নগরীতে কাজ না থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে এসব মানুষের। এরপরও এনজিওগুলো আমাদের কোনো সাহায্য সহযোগিতা না করে উল্টো কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এসব মানুষের মধ্যে আছে দিন মুজুর, রিকশাচালক, অটো চালক, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী।