রাজশাহী নগরকে লকডাউনের পরামর্শ স্বাস্থ্য কর্তার

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২০; সময়: ৫:৫২ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী নগরকে লকডাউনের পরামর্শ স্বাস্থ্য কর্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজশাহীকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে মনে করেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য। লকডাউন না করা হলে ইতালির মতোই ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে।

রোববার গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে ডা. গোপেন্দ্রনাথ বলেন, এটা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ অবস্থায় রাজশাহীকে লকডাউনের জন্য সিটি মেয়রকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লকডাউনে না গেলে এ থেকে উত্তরণের পথ পাওয়া যাবে না বলেও সতর্ক করেছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছে তাদেরকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েকজনের দেহে করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গও পাওয়া গেছে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সন্দেহভাজনরা নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, বিদেশ ফেরত ও তাদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের হাম কোয়ারেন্টাইনের নেয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের রোববার নতুন করে এক হাজার ৪৯৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীতে ৭৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩৬ জন, নওগাঁতে ৮৮৪ জন, নাটোরে ১০৮ জন, জয়পুরহাটে ১৪ জন, বগুড়ায় ১৩০ জন, সিরাজগঞ্জে ১৬৮ জন ও পাবনায় ৭৯ জন।

গেল ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার ২১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে মেয়াদ (১৪ দিন) পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনো উপসর্গ দেখা না দেয়ায় সুস্থ হিসেবে ১২৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আমরা বলছি, যারা বিদেশ থেকে আসছে তাদের অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তা না হলে তাদের পরিবারসহ আমাদের সবার ক্ষতি করবে। এ জন্য জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেন মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে না পড়ে। আর এজন্যই লকডাউন।

ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলছিলেন, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া খুব কড়াকড়িভাবে লকডাউন করায় তারা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। কিন্তু ভুল করেছিল ইতালি। করোনা ধরা পড়ার পরও তাদের রিলাক্টেড ভাব ছিল। গুরুত্ব দেয় নি। হোম কোয়ারেন্টাইন মেনটেইন করে নি। গণপরিবহন ব্যবহার করছিল। এটাই এখানেও ভুল হচ্ছে। গণপরিবহন পরিহার করারও আহ্বান জানান তিনি।

তবে করোনা নিয়ে কোনো ধরনে আতঙ্ক নয় সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেন, অন্য কোনো গুরুতর অসুখ না থাকলে করোনা থেকে সুস্থতার হার ৯৫ ভাগের ওপরে। কাজেই এ নিয়ে কোনো ধরনের আতঙ্ক না ছড়িয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দেন তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে