সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাড়িতে রাজশাহীর ২ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২০; সময়: ৯:১৪ অপরাহ্ণ |
সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাড়িতে রাজশাহীর ২ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলছে সাধারণ ছুটি। এই ছুটিকালীন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এই নির্দেশনা না মেনে বাসায় চলে গেছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা।

স্বাস্থ্য বিভাগের এ দুই কর্মকর্তা হলেন- উপ-পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার ও সহকারী পরিচালক ডা. মঞ্জুরা রহমান। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে হাবিবুর আহসান স্বীকার করেন তিনি গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটে। মঞ্জুরা রহমানও স্বীকার করেন তিনি আছেন পাবনার নিজের বাড়িতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ছুটি চললেও স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম চলছে। তাই সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দুপুরেই হাবিবুল আহসান তালুকদার অফিস থেকে বেরিয়ে গেছেন। সরকারি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-থ ১৩-০১৬৭) নিয়ে চলে গেছেন জয়পুরহাট। আগামী রোববার সকালে তার অফিসে ফেরার কথা।

ডা. মঞ্জুরা রহমান গত ১৩ এপ্রিলের পর অফিসেই আসেননি। রাজশাহীতে অফিস হলেও এ শহরে তিনি বাসাও ভাড়া নেননি। পাবনা থেকেই নিজের গাড়িতে অফিসে যাতায়াত করেন।

সূত্র জানায়, সপ্তাহে দুই দিনের বেশি অফিসে উপস্থিত থাকেন না এই কর্মকর্তা। তার অনুপস্থিতির কারণে ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত সামগ্রী যথাসময়ে বিতরণে সমস্যা হয়। বার বার সতর্ক করার পরও কাউকে তোয়াক্কা করেন না ডা. মঞ্জুরা।

অফিসে না আসার বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে আমার জ্বর। তাই অফিসে যাচ্ছি না। অফিসে আসব না, এটা মৌখিকভাবে জানিয়ে এসেছি। তবে আগামী রোববার অফিস করব। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাসায় যাওয়ার বিষয়ে ডা. মঞ্জুরা বলেন, রাজশাহীতে তো আমার বাড়ি নেই। অফিসের গেস্টহাউজে থাকি। এখন রান্না-বান্নার সমস্যা। তাই বাসায় চলে এসেছি।

ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, জয়পুরহাটে তিনি বাসায় আছেন। তবে অফিসের কাজেই তিনি জয়পুরহাট গেছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এখানে করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে। আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। হাসপাতাল-ক্লিনিক পরিদর্শন করতে হচ্ছে। সে জন্য অফিসকে জানিয়েই এসেছি।

এ দুই কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, তারা নিজ নিজ এলাকায় আছেন। তবে সমস্যা নেই। এরপরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে