কৃষি ঋণের সুদ ৪ শতাংশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২০; সময়: ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ |
কৃষি ঋণের সুদ ৪ শতাংশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ধান, গম, আলু, ভুট্টাসহ সব ধরনের শস্য ও ফসল উৎপাদনে ঋণের সুদহার ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন ঋণের পাশাপাশি আগের ঋণেও এই রেয়াতি সুদহার কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।

জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামীতে খাদ্যের উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কৃষিখাতে শস্য ও ফসল চাষের জন্য কৃষক পর্যায়ে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ করা অত্যাবশ্যক।

আমদানি বিকল্প ফসলসমূহ (ডাল, তেলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা) চাষ করার জন্য কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদহারে কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা রয়েছে। এখন আমদানি বিকল্প ফসলসমূহের পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লিখিত ধান, গমসহ সব দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাক-সবজি ও কন্দাল ফসল চাষের জন্যও সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় কৃষক পর্যায়ে প্রণোদনা হিসেবে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদহারে কৃষি ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত সুদ-ক্ষতি বাবদ ৫ শতাংশ হারে সুদ-ক্ষতি দেবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ স্কিমের মেয়াদ হবে ১ এপ্রিল ২০২০ হতে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত। কৃষক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। উক্ত সুদহার চলমান এবং নতুন ঋণগ্রহীতা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে ২০২১ সালের ৩০ জুনের পর চলমান ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বাভাবিক সুদহার প্রযোজ্য হবে।

কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী, ধান, গমসহ সব দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাক-সবজি ও কন্দাল ফসল চাষের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো আগের বছরের মতো নিজস্ব উৎস হতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত তাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ বিতরণ করবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তাদের প্রকৃত সুদ-ক্ষতি অনুযায়ী ৫ শতাংশ হারে সুদ-ক্ষতি পুনর্ভরণ সুবিধা প্রাপ্য হবে।

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য গত ১২ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের লক্ষ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলার অনুসারে, ১৮ মাস (৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ) মেয়াদী এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও আগামী দিনে খাদ্যের উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কৃষি খাতের সুদ হার কমানো হয়েছে।’

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রধানিয়া এ নিয়ে বলেন, কৃষি ঋণের বড় অংশই শস্য ও ফসল উৎপাদন খাতে যাবে। এর ফলে কৃষকেরা উপকৃত হবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে