কেশরহাট পৌর নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারনায় ভোটের আমেজ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২০; সময়: ৯:২২ অপরাহ্ণ |
কেশরহাট পৌর নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারনায় ভোটের আমেজ

শাহিন সাগর নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুর : আগামী ডিসেম্বর মাসে আসন্ন রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে কেশরহাটে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মাঝে শুরু হয়েছে ভোটের আমেজ। তফশিল ঘোষণা না হলেও সম্ভব্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লায়। সম্ভব্য প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে।

সম্ভব্য প্রার্থীরা দলের টিকিট পেতে ইতিমধ্যেই লবিং-গ্রুপিং শুরু করেছেন। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএপির নেতারাকর্মীদের মধ্যে লবিং-গ্রুপিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে পৌরসভা নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী চান আওয়ামী লীগ, বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

কেশরহাট পৌর নির্বাচনকে ঘিরে এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। মাঠ দখলের চেষ্টা করছেন দুই দলের সম্ভব্য প্রার্থীরা। কেশরহাট পৌরসভাসহ সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সেই হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ওই সময়ে ভোট করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এই লক্ষ্যে গত রোববার ২৩ আগষ্ট অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় ইসি সচিবালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। আর সেই সময়ের কথা ভেবে মাঠে নেমেছেন নেতারা। বিশেষ করে করোনা মহামারির মধ্যে কর্মহীন, মানুষের মধ্যে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে ভোটারদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক প্রার্থীরা।

তবে এবার কেশরহাট পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন তরুণ মুখ। এর পাশাপাশি বসে নেই কাউন্সিলর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন ওই সকল প্রার্থীরা। তবে প্রার্থীরা কাছের নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটযুদ্ধের জেতার বিভিন্ন কৌশল ও পরিকল্পনাও করে চলেছেন বেশ জোরে সরে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একক প্রার্থী দেয়ার কথা থাকলেও কেশরহাটে একাধিক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছাড় দিতে চাইছেনা জাতীয় পার্টিও। এবার কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচনে উভয় দলের হয়ে পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন এমন প্রার্থীর সংখ্যাও একাধিক। বিশেষ করে গত ৫ বছরে যারা বিতর্কের বাইরে থেকেছেন, নিজ এলাকায় অবস্থান করেছেন এবং কর্মীদের সাথে ভাল ব্যবহার করেছেন তাদেরকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ভোটাররা।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৫ সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, দেশ রত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা আওয়ামলীগ। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মতেই রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, তরুণ, ক্লিন ইমেজ, উচ্চ শিক্ষিত, তৃণমুলের মতামত এবং বিদ্রোহী প্রার্থী যেন কেউ না হতে পারে সে বিষয়গুলো বিবেচনা করেই এবার পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া হবে আশা কোরছি।

কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যানারে প্রার্থী হতে চান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পৌর কাউন্সিলর রুস্তম আলী প্রামানিক।

তিনি বলেন, পৌর সভা এলাকায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের দুঃখ দুর্দশার ও তাদের চাওয়ার কারণে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন এবং শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন বলেও জানান তিনি।

পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান শাহিন।

অপরদিকে বিএনপি ব্যানারে প্রার্থীর যাদের নাম শােনা যাচ্ছে তারা হলেন, কেশরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আলাউদ্দিন আলো, সাবেক কাউন্সিলর রাজশাহী জেলা কৃষকদল ও কেশরহাট পৌর বিএনপি আহবায়ক সদস্য এনামুল হক।

এদিকে প্রার্থী মনোনয়নে দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেবেন বলে উভয় দলের নীতি নির্ধারনী মহল জানিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যদি কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তবে তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে