প্রেমিকার প্ররোচনায় স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২০; সময়: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ |
প্রেমিকার প্ররোচনায় স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পরকীয়া প্রেমের কারণে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রী ও তিন বছরের ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ। বৃহস্পতিবার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হারুন ও তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তারে পর স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করে হারুন।

নিহত গৃহবধূ মুসলিমা আক্তার (৩৮), শিখা মাদারগঞ্জ পৌরসভার ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ শেখের মেয়ে।

মাদারগঞ্জের গুনারিতলা ইউনিয়নের চরগোপালপুর গ্রামের বিএডিসির সাবেক মেকানিক্স মো: ফজলুল হকের ছেলে হারুন অর রশিদ পলাশ বেশ কিছুদিন বিদেশে ছিলেন। রোজিনা আক্তার নামের এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ নিয়ে স্ত্রী মুসলিমার সাথে তার পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সেই কলহের জের ধরে বুধবার ভোররাতে হারুন তার স্ত্রী মুসলিমা ও তিন বছরের ছেলে তাওহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। প্রতিবেশীরা রাতেই এ ঘটনা আঁচ করতে পেরে মাদারগঞ্জ থানায় খবর দেয়।

পুলিশ বুধবার সকালে ওই বাড়ি থেকে নিহত মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন সকালেই জামালপুরের পুলিশ সুপার মো: দেলোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। পরে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হারুন অর রশিদ পলাশ ও তার কথিত প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো বটি, রক্তমাখা একটি লুঙ্গি, বিছানার চাদর ও মাছ ধরার জাল আলামত হিসেবে জব্দ করে।

বুধবার নিহত মুসলিমা আক্তারের ছোট ভাই মো: খোকন মিয়া অভিযোগ করেন, মুসলিমার স্বামী হারুন অর রশিদ পলাশের পরকীয়া সম্পর্কের কারনেই এই হত্যাকান্ড হয়েছে এবং এই হত্যায় শ্বশুর-শ্বাশুড়িও জড়িত রয়েছে।

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার জানান, পরকীয়ার প্রেমের কারনেই এই হত্যাকান্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করে হারুন অর রশিদ পলাশ ও তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোর্পদ করা হয়। আদালতে অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ প্রেমিকা রোজিনার প্ররোচনায় নিজের স্ত্রী ও পুত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন। দুজনকেই আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে।

  • 22
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে