কৃষক পুনর্বাসনে ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২০; সময়: ১০:৩২ অপরাহ্ণ |
কৃষক পুনর্বাসনে ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সাড়ে ১১ লাখ কৃষককে ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ টাকার সার ও বীজ দেবে সরকার। রবি মৌসুমে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, মসুর, খেসারি, টমেটো এবং মরিচ চাষের জন্য দেশের ৫১ জেলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে এসব বীজ ও সার দেওয়া হবে।

পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে এসব জেলার ডিসিদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলার কৃষকরা এসব সহায়তা পাবেন।

এই কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত একটি কৃষক পরিবার এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য ২০ কেজি গম, এক কেজি সরিষা, ১০ কেজি চীনাবাদাম, পাঁচ কেজি মসুর, আট কেজি খেসারী, এক কেজি সূর্যমুখী, শূন্য দশমিক ০৫ কেজি টমেটো এবং শূন্য দশমিক ৩০ কেজি মরিচের বীজ পাবেন। এছাড়া প্রত্যেক কৃষককে সর্বোচ্চ ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হবে।

বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এই কর্মসূচির জন্য মনোনীত প্রত্যেক কৃষকের স্ট্যাম্প সাইজের ছবিযুক্ত কৃষক উপকরণ কার্ডের ভর্তুকি অংশে যথাযথভাবে উপকরণের পরিমাণ লিখে মাস্টার রোল সংরক্ষণ করে উপকরণ বিতরণ করবেন। কোনো কৃষকের উপকরণ কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে মাস্টার রোলে কৃষকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (যদি থাকে), স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সংযুক্ত করে মাস্টার রোলে সংরক্ষণ করতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটিকে কৃষি সহায়তা উপকরণ বিতরণের জন্য ব্লক বা ইউনিয়নভিত্তিক বিতরণ রেজিস্টার, সংশ্লিষ্ট কৃষকের তালিকাসহ যাবতীয় হিসাব ও কাগজপত্র সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কৃষকের তালিকার এক কপি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালকের কাছে পাঠাতে হবে। উপ-পরিচালককে তা সংরক্ষণ করে এক কপি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে