বিশ্বে চার মাসে দ্বিগুণ বেড়েছে করোনার সংক্রমণ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২০; সময়: ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ |
বিশ্বে চার মাসে দ্বিগুণ বেড়েছে করোনার সংক্রমণ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিশ্বে ফের বেড়েছে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। অনেক দেশেই ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে তৃতীয় ঢেউও দেখা দিয়েছে। এদিকে কার্যকর টিকার সন্ধান মিললেও শিগগিরই করোনা মহামারি থেকে মুক্তি নিয়ে সংশয় কাটছে না।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত চার মাসে বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়ে পাঁচ-ছয় লাখের কোঠায় ঠেকেছে। তবে এর মধ্যে স্বস্তির খবর হলো, সংক্রমণ বৃদ্ধির অনুপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়েনি। বৈশ্বিক গড় মৃত্যুহার ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মৃত্যু কমার পেছনে ভাইরাসটি যে দুর্বল হয়ে পড়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বেশি বেশি পরীক্ষা এবং করোনার সঙ্গে মানুষ অনেকটা খাপ খাওয়ায় পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো মানবদেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সাড়ে ১০ মাস কেটে গেলেও এখনো ভাইরাসটির উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যদিও ডিসেম্বরের আগেই চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে মার্কিন জৈব-প্রযুক্তি কম্পানি মডার্না গত সোমবার জানিয়েছে, তাদের করোনার টিকা ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর বলে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রাথমিক ফলে উঠে এসেছে। এর আগে মার্কিন ওষুধ কম্পানি ফাইজার এবং জার্মান জৈব-প্রযুক্তি কম্পানি বায়োএনটেক তাদের উদ্ভাবিত করোনা টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে জানায়।

মডার্না ও ফাইজার নিজেদের টিকার অনুমোদনের জন্য শিগগিরই আবেদন করবে। আর রাশিয়ার টিকা স্পুৎনিক ভি ৯২ শতাংশ কার্যকর বলে বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে। এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের টিকাও শিগগিরই অনুমোদন পেতে পারে। চীনের কয়েকটি টিকাও একই অবস্থায় আছে। তবে সংকটের বিষয় হলো, টিকা উৎপাদন ও সংরক্ষণের পরিকাঠামো সব দেশে নেই। যেমন ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার পরিকাঠামো প্রয়োজন। তা ছাড়া এগিয়ে থাকা টিকার কম্পানির সঙ্গে অনেক দেশের চুক্তি যেমন নেই, তেমনই উৎপাদনের সক্ষমতা নেই।

অন্যদিকে সবার জন্য টিকা নিশ্চিতকরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সে ১৭২টি দেশ নাম লেখালেও তা বেশ সময়সাপেক্ষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন এ উদ্যোগের সঙ্গে আছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন (সিইপিআই) এবং দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি)। এ উদ্যোগের সদস্য রাষ্ট্রগুলো জনসংখ্যার ৩ শতাংশের জন্য টিকা পাবে।

  • 17
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে