ধামইরহাটে নাহার ফিলিং ষ্টেশনে তেল কম দেওয়ায় প্রতারিত হচ্ছে শত শত গ্রাহক
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে নাহার ফিলিং ষ্টেশনে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন এভাবে শত শত গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছে, যা দেখার কেউ নেই। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাটি প্রকাশ হলে এলাকায় ব্যাপক হৈ চৈ পড়ে।
জানা গেছে, উপজেলার আমাইতাড়া মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে নির্মানাধীন ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ভবনের কার্যক্রম চলমান অবস্থায় মাইশা কনস্ট্রাকশন ট্রাকের মাধ্যমে মাটি আনা নেয়া করছেন। নির্ধারিত পরিমাণ তেলে ট্যাংকি ফুল না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ চালককেই অনেকবার সন্দেহ করে ৩ জনকে ছাঁটাই করেছেন। কিন্তু ৬ জানুয়ারী দুপুরে বেড়িয়ে আসলো থলের বিড়াল।
ট্রাক চালক গৌতম জানান, সে দেড় মাস থেকে নাহার ফিলিং ষ্টেশনে তেল ক্রয় করেন এবং ওই ট্রাক দিয়ে পরিবহন কাজ সম্পন্ন করেন, ৬০ লিটার তেলেই ট্রাকের ট্রাংকি পূর্ণ হয়, কিন্তু ওই পাম্পে তেল ভরালে ৬৬ লিটার তেল লাগে। বিষয়টি নিয়ে কৌতুহলি মাইশা কনস্ট্রাকশন কর্তৃপক্ষ বুধবার দুপুর ২ টার দিকে তেল মেপে ৬ লিটার তৈল কম পান। এই খবর প্রকাশ হলে মুহুর্তেই মধ্যে নাহার ফিলিং ষ্টেশনে সমবেত হোন উত্তেজিত জনতা। তোপের মুখে পাম্পে তেল বিক্রয় বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ।
নাহার ফিলিং ষ্টেশনের কর্তব্যরত ম্যানেজার সামসুল হক জানান, আমরা পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল তৈল বিক্রয় করে থাকি, পাম্পের ভেতরে (ট্যাংকিতে) হাওয়ার প্রবেশ করার কারণেই তৈল কম হতে পারে, তবে আমরা গ্রাহকের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ডিজেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি।
মাইশা কনস্ট্রাকশনের অর্থনৈতিক তত্বাবধায়ক ওবায়দুর রহমান তোতা জানান, পাম্পে ডিজিটাল কারচুপি করে তেল কম দেন পাম্প কর্তৃপক্ষ, আর আমাদের সেই অপরাধে ৩ জনের চাকরী চলে গেছে।
মাইশা কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মুন্না আহমেদ জানান, আমরা ৮ মাস থেকে পাম্পে তৈল কিনছি, আমরা হিসেব না করে প্রকৃত কত লিটার তৈল কিনেছি এবং কতখানি প্রতারিত হয়েছি, তা বলা মুশকিল, তবে সন্ধ্যায় হিসেবে করে বলতে পারবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট গনপতি রায় বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার আইনে কোন বিক্রয়কৃত পন্য কম দেয়া দন্ডনীয় অপরাধ, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
567