সিটি সেন্টার নির্মাণসহ সোনাদিঘির সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র লিটন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২১; সময়: ১০:০১ অপরাহ্ণ |
সিটি সেন্টার নির্মাণসহ সোনাদিঘির সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘি নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে। একই সাথে সোনাদিঘি ফিরে পাচ্ছে তার হারানোর ঐতিহ্য। সোনাদিঘিপাড়ে বহুতল ভবন সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একই সাথে সোনাদিঘিকে ঢেলে সাজানোর কাজও চলছে সমানতালে। শুক্রবার বিকেলে সিটি সেন্টার ও সোনাদিঘি মসজিদ নির্মাণ ও সোনাদিঘিকে সাজানোর কাজ পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় কাজের অগ্রগতি সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

উল্লেখ্য, এক সময় সোনাদীঘি ছিল অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘির চারপাশ উন্মুক্ত ছিল। এর পানি এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে তা দিয়ে এলাকাবাসীর রান্নার কাজও চলত। ১৯৮০-৮১ সালের দিক থেকে সোনাদীঘির চারপাশে স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। ঢাকা পড়ে সোনাদীঘির মুখ। রাস্তা থেকে আর সোনাদীঘি দেখা যেত না তখন। সোনাদীঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় এনা প্রপার্টিজ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী ৫ বছর কাজ বন্ধ হয়ে থাকে।

২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘিকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুর্নবাসন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ ও সাজানো শেষে সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র।

দিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে পায়ে হাঁটার পথসহ মসজিদ, এমফি থিয়েটার (উন্মুক্ত মঞ্চ) ও তথ্যপ্রযুক্তি পাঠাগার। দীঘির চারপার্শে পর্যাপ্ত বসার জায়গা রাখা হবে। রাতে আলোকায়ন করা হবে। থাকবে ফোয়ারা। দিঘীকে সংস্কার করে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হবে। কাজ শেষে সোনাদিঘী ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য ও নিজস্ব স্বকীয়তা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে