সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ও দুইজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সাবেক অধ্যক্ষর সংবাদ সম্মেলনে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও মানহানিকর উল্লেখ্য করে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ শিক্ষক পরিষদ।
মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষক পরিষদ এর আয়োজনে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় কলেজের শিক্ষকরা মানবন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে শিক্ষক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টি এম সোহেল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম মনোয়ার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর টি এম সোহেল সহ দুইজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অডিট নিস্পত্তির জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবীর যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। এর ফলে পুরো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ পরিবার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। কারণ হিসেবে তিনি সকল নথিপত্র গণমাধ্যমের নিকট উপস্থাপন করে দেখান সকল দিক থেকে অবসরে থাকা অধ্যক্ষ এসএম মনোয়ার হোসেন নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং অডিট আপত্তি থেকে নিজেকে বাঁচাতেই এমন মনগড়া সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের মানহানি করেছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর টি এম সোহেল আরো জানান, অবসরে যাওয়া প্রফেসর মনোয়ার হোসেনের পেনশন সংক্রান্ত ফাইল মাউশিতে অনেক আগেই পাঠিয়েছি। বাকি কাজ তাদের। এখানে আমার কিছুই করার নেই। আমার অগোচরে ইতিপূর্বে কে বা কারা অডিট আপত্তি নিস্পত্তির জন্য মন্ত্রণালয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ প্যাড ও আমার স্বাক্ষর জাল করে পত্র পাঠিয়েছিল, যা ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ সদর থানায় ৯৬৩ নং জিডিতে বিস্তারিত উলেখ করা আছে। এসময় কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন,অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন অবসরে যাওয়ার পর অডিট অধিদপ্তর থেকে একটি টিম আসে কলেজের আয়-ব্যয় অডিট করার জন্য। কিন্তু তারা কলেজের বিভিন্ন নথিপত্র দেখে নানা অনিয়ম এবং কলেজ ফান্ডের ৯২ লাখ টাকার কোনো হদিস না পাওয়াতে অডিট স্থগিত করে চলে যান।
পরে কলেজ কর্তৃক অভ্যন্তরীণ একটি অডিট করার পরামর্শে বর্তমান অধ্যক্ষ টি এম সোহেল একটি অডিট কমিটি করে দেন এবং তাদের দেওয়া প্রতিবেদন মতে ১৯টি আপত্তি উত্থাপিত হয়। যার মধ্যে আর্থিক লেনদেন অনেকাংশে জড়িত। এককথায় একাধিক অভিযোগে তার বির“দ্ধে প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ প্রতিয়মান। বিধায় এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে হয়তো তার পেনশন ও অবসর ভাতা প্রদানে বাধার কারণ হতে পারে। এখানে ঘুষ লেনদেন করা বা প্রস্তাবের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।