অস্ত্র দিয়ে যুবককে জেলহাজতে প্রেরণের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১; সময়: ১০:১৬ অপরাহ্ণ |
অস্ত্র দিয়ে যুবককে জেলহাজতে প্রেরণের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে ৩ দিন থানা হাজতে আটক রেখে অস্ত্র মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বৈলগাছি গ্রামে। আটক মজনু মিয়া একই উপজেলার বৈলগাছি গ্রামের শওকত আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আটক মজনু মিয়ার স্ত্রী ভানু খাতুন জানান,গত ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল সাগে ১১টার সময় প্রকাশ্যে দিবালোকে মমেসপুর হাট ব্যাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে আমার স্বামী মজনুমিয়াকে বেলকুচি থানার দুই এসআই তাকে ডেকে নিয়ে জোরকরে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তিতে আমি আমার মাম শ্বশুর ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে বিকালে থানায় যাই এবং এসআই জয়দেবকে সাথে নিয়ে এসআই নুর আলমের সাথে দেখা করি এবং আমার আমার স্বামীর খোজ জানতে চাই। তখন তিনি বলেন কাল আসেন।

এরই প্রেক্ষিতে শনিবার পুনরায় থানায় যাই এবং আমার স্বামীল সাথে দেখা করি এবং তাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করি। যা থানায় সিসি টিভি ফুটেজে ডিউটি রুমে বসেই দেখা যায়। এসময় এসআই নুর আলম বলেন তাকে ছাড়া যাবেনা একটি সন্দেহ মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে কাল কোর্টে চালান করা হবে। পরের দিরন ৩১ জানুয়ারি রবিবার সকাল ১১টায় পুনরায় খাবার নিয়ে থানায় গেলেআমার স্বামীর সাথে আমার মেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরে।

এসময় আবারো এসআই নুর আলম আমাদের জানান একটু পরেই কোর্টে প্রেরণ করা হবে। এসময় আমরা থানার ডিউটি অফিসারের রুমে সিসিটিভি ফুটেজে স্বামীকে দেখি এবং বাড়ি চলে আসি। পরে কোর্টে গিয়ে জানতে পারি কোর্টে চালান করা হয়নি। পরে সন্ধ্যায় আমার স্বামীকে থানাতেই খাবার দিয়ে আসি। ১ফেব্রয়ারি সোমবার সকাল ১১টার দিকে পুনরায় থানায় গেলে জানতে পারি তখনও তাকে চালান করা হয়নি। পরে মঙ্গলবার ২ ফেব্রয়ারি জানতে পারি বেলকুচি থানার একটি হত্যা মামলায় সন্দেহ এবং অস্ত্রমামলায় তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ২৯ জানুয়ারি দিনে সন্দেহমুলক ভাবে আটক দেকিয়ে কিভাবে একজন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ১তারিখ রাতে অস্ত্রসহ আটক দেখিয়ে কোর্টে চালান করা হলো এটা সকলের বোধগম্য নয়। শুধু তাই নয় নিরাপরাধ একজন মানুষকে দিনের বেলায় ধরে নিয়ে ৩দিন থানা হেফাজনে আটক দেখিয়ে ৪দিন পর অস্ত্রসহ আটক দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা এটা আইন পরিপস্থি বলে মনে করি। একই সাথেতার স্বামীল বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা প্রত্যাহারসহ এমন ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উম্মোচিত করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মজনু মিয়ার মামা নুরুল ইসলাম, বোন তানজীদা খাতুনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা অভিযোগ অস্বীখার করে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যে সকল অভিযোগ উস্থাপতি হয়েছে তা সত্য না। আমরা থানা হেফাজনে ২৪ ঘন্টার বেশি আসামীকে রাখিনা। যেদিন আটক করা হয়েছে তার পরের দিন কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানার ওই কয়েক দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দিতে পারবেন বলেও তিনি জানান।

  • 70
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে