দুদককে নখদন্তহীন বাঘ হলে চলবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১; সময়: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ |
দুদককে নখদন্তহীন বাঘ হলে চলবে না: হাইকোর্ট

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নখদন্তহীন বাঘ হলে চলবে না। আইন অনুযায়ী এই সংস্থাকে যে ক্ষমতা ও এখতিয়ার দেওয়া আছে, তা যথাযথভাবে পলন করতে হবে।’

সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত ইস্যুতে করা রিট শুনানির এক পর্যায়ে আদালত এমন মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ‘সুইস ব্যাংকের জব্দকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুদককে সক্রিয় থাকতে হবে।’ এসময় দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই সক্রিয় আছি। আমাদের কাছে সকল তথ্য রয়েছে। সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করতে পারব।’

আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনানিতে আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ একথা বলেন। পরে রিটের ওপর শুনানি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়। আবেদনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে এবিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

একইসঙ্গে, সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে, পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদনও করা হয়।

  • 12
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে