৫ ভাই-বোনের সম্পত্তি বড় ভাইয়ের দখলে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১; সময়: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ |
৫ ভাই-বোনের সম্পত্তি বড় ভাইয়ের দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মিঞাপুর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ মোল্লার ৪ ছেলে ২ মেয়ে। ১৯৯৫ সালে তিনি মামলার আসামী হলে বড় ছেলে এমদাদুল হক (৫২) জমিজমা-সহ ব্যাংক হিসাবের সব দায়িত্ব নেন। সাজ্জাদ মোল্লা গত বছর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

বাবার মৃত্যুর পর বড় ভাই এমদাদুল হকের কাছে ১৩৫ বিঘা আবাদী জমি, আমবাগান, রাজশাহী শহরের মহিষবাথান এলাকায় দুই তলা বাড়ি এবং টাকার ভাগ চান ৫ ভাইবোন। কিন্তু তিনি এড়িয়ে যান। এমদাদুল হক মহিষবাথানের বাড়িটি নিজ নামে কৌশলে লিখে নেন। দলিলে স্বাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছেন তার সালাকে। ভাইবোনেরা সম্পতির ভাগ চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কোন দলিল বা ব্যাংকের কাগজপত্র নাই।’

পরবর্তীতে ভাইবোনেরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান কামরুর মাধ্যমে গত বছরের ২১ অক্টোবর সমঝোতায় বসেন। সেই বৈঠকের এক পর্যায়ে এমদাদুল হক সব কিছু অস্বীকার করে চলে যান। এরপর সম্পত্তি বন্টনের আবেদন জানালে শিবগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বসার জন্য ভাইবোনদের বলেন এমদাদুল। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইউপি চেয়ারমান আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে পরিষদে বসে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের মিমাংসা করা হয়।

সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামারুজ্জামান কামরু ও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামাল হোসেন। সেখানে এমদাদুল হক চেয়ারম্যানের কাছে সম্পতি ও ব্যাংক হিসেবের কাগজপত্র তার কাছে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি জানান, তার কাছে জমিজমার ও ব্যাংকের কাগজপত্র আছে, সেগুলো তিনি দিয়ে দেবেন। তারপরে সেগুলো বুঝিয়ে না দিয়ে এমদাদুল পুনরায় কালক্ষেপন শুরু করেন, এবং পরে সেগুলো দিতে অস্বীকৃতি জানান। ইউপি চেয়াম্যানের কাছে গেলে তিনি ভাইবোনদেরকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরমার্শ দেন।

৫ ভাইবোন মিলে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বড় ভাই এমদাদুলের নামে মামলা করেন। মামলার বাদি হলেন- রবিউল ইসলাম (৪৮), বেদারুল হোসেন (৪২), কুদরত হোসেন (৪০), দিল আফরোজ বেদানা (৪৫) ও নিহার বানু (৩৭)।

এমদাদুলের বিরুদ্ধে সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করলে পুলিশ তার বাড়ি থেকে ৫৯টি দলিল, যার জমির পরিমান প্রায় ১৩৫ বিঘা ও ৯টি ব্যাংক একাউন্টে ১ কোটি টাকার বেশি জমার রশিদ হিসেব জব্দ করে কোর্টে জমা দেয়।

৫ ভাইবোনের দাবি, বড় ভাই এমদাদুলের কাছে আরো টাকার হিসাব ও জমিজমার দলিলপত্র থাকতে পারে। তারা নিজেদের ন্যায্য ভাগ চান। এ ব্যাপারে বিবাদীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক শুনে ফোনটি রেখে দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে