সুজানগরে নলকূপে উঠছে না পানি, দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২১; সময়: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ |
সুজানগরে নলকূপে উঠছে না পানি, দুর্ভোগ চরমে

এম এ আলিম রিপন : চৈত্র মাসের দাবদাহে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পাবনার সুজানগর উপজেলার বেশিরভাগ নলকূপ থেকে উঠছে না পানি। শুধু নলকূপ নয়, কোথাও কোথাও গভীর নলকূপেও পাওয়া যাচ্ছেনা প্রয়োজনীয় পানি। ফলে উপজেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। পরিবেশগত নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

সুজানগর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৭০ হাজার হস্তচালিত অগভীর নলকূপ রয়েছে। উপজেলায় সাধারণ পানির স্তর গড়ে ৪০ থেকে ৭০ ফুট গভীরে। বেশিরভাগ এলাকায় এ স্তর পৌঁছালেই পানি পাওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে গেছে পানির স্তর। প্রতি বছর তীব্র দাবদাহে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ অবস্থা আরও প্রকট হয়। বেশিরভাগ এলাকায় অগভীর নলকূপে পানি উঠা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি বর্তমানে ১০০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও পানি পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর পৌর শহর ও প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে পানি সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। সুপেয় পানির সঙ্কট দেখা দেওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীদের।

সুজানগরের কাঁচারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্রী শিল্পী রানী বলেন, টিউবওয়েলের হ্যান্ডেল চাপতে চাপতে ঘাম ঝরে যায় তবু পানি উঠেনা। প্রতিবেশীদের নলকূপ (সাবমার্সিবল পাম্প) থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খাবার পানি আনতে হয়। পানির অভাবে ঠিকমতো গোসলসহ অন্যান্য কাজকর্ম করতে না পারায় আমরা বেশ দুর্দশার মধ্য আছি।

সাগরকান্দি ইউনিয়নের চর খলিলপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিন বলেন, টিউবওয়েল তো দূরের কথা, এখন বিদ্যুৎচালিত পানির পাম্পেও পানি পাওয়া কষ্টকর।

ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গরম শুরুর পর থেকেই হস্তচালিত নলকূপে আগের মতো পানি উঠছে না। রাতে অথবা ভোরে সামান্য পানি ওঠে।

মাসুমা আক্তার নামক এক গৃহিণী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পাম্পের সাহায্যেও পানি উঠানো যাচ্ছেনা।

সুজানগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুস শুকুর বলেন, কাঠফাঁটা রোদে মাঠ-ঘাট, পথ, খাল-বিল ও প্রান্তর ফেঁটে চৌচির। বৃষ্টির অভাবে ফসলি ক্ষেতও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পুকুর ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। এতে খরতাপে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকূল।

সুজানগর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাত হলে পানির এ সঙ্কট থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে