পালানো ১০ করোনা রোগীকে ফেরত আনলো পুলিশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১; সময়: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ |
পালানো ১০ করোনা রোগীকে ফেরত আনলো পুলিশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যশোর আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ‘পালানো’ ১০ করোনা রোগীকে ফের হাসপাতালে ফেরত এনেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন ভারতফেরত করোনা পজিটিভ রোগী।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই করোনা রোগীদের হাসপাতাল ত্যাগের বিষয়টি জানার পর পুলিশের একাধিক টিম সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যার দিকে সবাইকে ফেরত আনে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, শনিবার সকাল থেকে রোববার দুপুরের মধ্যে অনুমতি ছাড়াই তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। সোমবার ‘পালিয়ে’ যাওয়া রোগীদের নাম ঠিকানা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হলে পুলিশ ১০ জনকেই হেফাজতে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনি ও রোববার যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে সাতজন ভারতফেরত করোনা পজিটিভ। তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এরপর বিভিন্ন সময়ে এরা সবাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চলে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করে। ফলে ‘পালিয়ে যাওয়া’ রোগীরা যদি ভারতীয় ভেরিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। এরপর রোগী ‘পালানোর’ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়।

যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ১০জন রোগী ছাড়পত্র না নিয়ে চলে গেছে। এদের মধ্যে ৭ জন ভারতফেরত করোনা রোগী রয়েছে। ওই সাতজনের মধ্যে খুলনার ৩ জন, সাতক্ষীরার ২ ও যশোর ও রাজবাড়ি জেলার একজন করে রয়েছেন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই ১০জনের নাম ঠিকানা ছিল। তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, করোনা ওয়ার্ডে নার্স ও চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে নিরাপত্তা কর্মী ছিল না। গেট তালাবদ্ধ করা হয়নি। এজন্য রোগীরা চলে যেতে পেরেছে। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা নেই। তালাবদ্ধ রাখলে এভাবে চলে যেতে পারত না। তবে যারা আক্রান্ত তাদেরকে বেশি সচেতন হওয়া উচিত ছিল।

  • 33
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে