বাঘায় ওজনে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। খুচরা কিংবা পাইকারি বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন, কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান, প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হুমাইরা জেরিন, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দীন, সাব ইন্সপক্টের মামুন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কোন বিক্রেতা তরমুজ কেনার চালান দেখাতে পারলে বোঝা যাবে তারা কত টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনেছেন। তাহলে তার সঙ্গে একটা যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে দর বেধে দেওয়া যেত।
সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এজন্য তাদের তরমুজ প্রকারভেদে পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ‘পিস’ হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে। এজন্য বাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হবে। যদি কেউ আদেশ না মানেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, বাঘায় এসব তরমুজ আসে নাটোর, বনপাড়া, লালপুর, বরগুনা, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে। সেখান থেকে পিস হিসেবে কিনে খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই তরমুজ বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
সভায় রমজান মাসে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে আলোচনা করা হয়। তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই বলে বিশেষভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না।
অন্যদিকে বাজারে মূল্য তালিকা টানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও বাজার কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলা হয়েছে। তারা ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে মাঠে নামবে প্রশাসন।
18