অবৈধ গণনিয়োগে নীরব প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক!

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২১; সময়: ৯:০৬ অপরাহ্ণ |
অবৈধ গণনিয়োগে নীরব প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বিদায়কালে দেয়া ১৩৭ জনের অবৈধ নিয়োগ নিয়ে গত কয়েকদিন প্রতিবাদে মুখর শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠন। এই নিয়োগের প্রতিবাদে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির ১৬ শিক্ষক বিবৃতি দিলেও এই ব্যাপারে নীরব সংগঠনের আহ্বায়ক। এতে দলের আহবায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহল থেকে।

২১ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটির ১৬ জন শিক্ষক প্রতিক্রিয়া জানালেও পুরো বিষয়ে মীরব ভূমিকা পালন করেছেন আহবায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমানসহ আরও ৪ সদস্য। তবে সাবেক উপাচার্যের অনিয়ম ও গণনিয়োগ নিয়ে মুখ না খুললেও ‘১৬ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটির’ কার্যক্রম নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন খোদ আহ্বায়ক।

এ বিষয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সহ-আহবাহক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, কোনো ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে আহবায়ক মিটিং ডাকে, তারপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো হয়। এখন কনভেনর সাহেব তো মিটিং ডাকেন নি।

আরেক কো-কনভেনর অধ্যাপক আলী রেজা বলছেন, এখন যেহেতু করোনা মহামারী পরিস্থিতি সেজন্য কনভেনর হয়তো মিটিং কল করেন নি। আমাদের স্টিয়ারিং কমিটিতে ১৬ জন শিক্ষক আছেন, তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে আসেনি। এমনও হতে পারে আমাদের অনেক শিক্ষক আছেন যারা প্রকাশ্য না হলেও গোপনে সাবেক উপাচার্যের কার্যক্রম সমর্থন করেন। অনেকেই আছেন সে নিয়োগের ফল ভোগীও তারা। হতে পারে তারা কোভিড পরিস্থিতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সাবেক উপাচার্যের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিতে চাচ্ছেন।

তবে বিতর্কিত সে নিয়োগের ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননা বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির আহবায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। কিন্তু স্টিয়ারিং কমিটির ১৬ শিক্ষকের প্রতিক্রিয়ায় বিষয়ে তিনি বলেন, স্টিয়ারিং কমিটির ১৬ শিক্ষক আলাদা হয়ে সব কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমি এগুলো থেকে বিরত আছি। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ওরাই করুক, ওরা সব দখল করে নিয়েছে। এজন্য আমি কোথাও যাই না। কোথাও কিছু করি না।

এর আগে, ১৩৭ জনের নিয়োগের প্রক্রিয়াকে বিধিবহির্ভূত ও অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ১৬ শিক্ষক।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের এ অংশটি শুক্রবার (৭ মে) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান । পাশাপাশি নিয়োগের ফলে সৃষ্ট অরাজক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সে বিবৃতিতে সাক্ষর করেছেন অধ্যাপক তরিকুল হাসান, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহানুর রহমান, অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন সহ ১৬ জন শিক্ষক। নীরব ছিলেন স্টিয়ারিং কমিটির ৪ সদস্যের পাশাপাশি আহবায়ক নিজেও।

  • 710
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে