রাজশাহীতে ঈদের পর আবারও বাড়ছে কাঁচাপণ্যের দাম

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২১; সময়: ১:১১ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে ঈদের পর আবারও বাড়ছে কাঁচাপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই রাজশাহীর কাঁচাবাজারে কমতে শুরু করে ক্রেতা সমাগম। আজ শুক্রবার নগরীর সাহেববাজারসহ অন্যান্য বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। সপ্তাহ ঘুরে আবারও জমে উঠছে কাঁচাবাজার। ফলে ঈদের মধ্যে সবজিসহ বিভিন্ন কাঁচাপণ্যের দাম কমলেও আবারও তা বাড়তে শুরু করেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের মধ্যে মানুষ সবজি কম এবং মাছ-মাংস বেশি খায়। ফলে বাজারে সবজির চাহিদা ছিল কম। এ কারনে দাম কমে গিয়েছিল। ঈদের পরে আবার চাহিদা বাড়ছে। যার ফলে সবজির কেজিতে দুই-এক টাকা করে বাড়ছে।

ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে ঈদের দুই একদিন আগে ও পরে যে দাম ছিল, তার চেয়ে কিছুটা দাম বেড়েছে।

আজ রাজশাহীর কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, ঢেড়স ২০ টাকা, পটল ৩০-৩৫ টাকা, ঝিঙে ২০-২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকা, বরবটি ২০-২৫ টাকা, সজনে ডাটা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ১৫-২০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৩০-৩৫ টাকা, পেপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ ২০-২৫ টাকা ও কলা ১৫-২০ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৬-৩৮ টাকা, আদা ৬৫-৭০ টাকা, রসুন ৬৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা ও শুকনো মরিচ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

ক্রেতা রিমা বেগম বলেন, কিছু জিনিসের দাম কমেছে, আবার কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে। তবে ঈদের আগে ও পরে কয়েকদিন কাঁচাপণ্যের দাম বেশ কম ছিল। এখন কিছুটা বেড়েছে। তবে এটা যে খুব বেশি তা বলা যাবে না। ঈদের আগে যেমনটা ছিল, ঠিক তেমনটা রয়েছে।

বাজারে বোতলজাত প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৬৪৫ টাকা ও সরিষা প্রতি কেজি ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি চিনি ৬৮ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, সোনামুগ ১৪০ টাকা, ছোলাবুট ৬৭ টাকা, খেসারি ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, মটর ৯৫ টাকা ও এ্যাংকর ডাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিপণন স্টোর শাহ আলম এ্যান্ড সন্স।

মাছের বাজারে রকমভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এসময় বিক্রেতা ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মাছের আমদানি নাই। গাড়ীঘোড়া বন্ধ। কিভাবে আমদানি হবে? তাই দাম কমেনি।

এছাড়া অন্যান্য মাছের মধ্যে রকমভেদে মৃগেল ১২০-১৮০ টাকা, রুই ১৬০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, সিলভার ৯০-১৫০ টাকা, কালবাউস ১৫০ টাকা, তেলপিয়া ১৪০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা ও টাকি মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংসের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস দশ টাকা বেড়ে ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও খাশির মাংস ৮০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংস বিক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, বাজারে গরুর সরবরাহ কম। ঈদের মধ্যে মাংসের চাহিদা বেশি। সে কারনে দাম দশ টাকা বেশি।

এছাড়াও ব্রয়লার মুরগি ১২৫-১৩০ টাকা, সোনালী ২৩০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতা মো. কাজিম বলেন, মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। কয়েকদিন আগেও ব্রয়লার ১৪০ টাকা, সোনালী ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এছাড়াও লেয়ার ও দেশি মুরগির দামও কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন চাল। নতুন চালের দাম কিছুটা কম হলেও পুরোনো চালের দাম স্থির রয়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪৫ টাকা, নতুন আটাশ ৫০-৫২ টাকা, পুরোনো আটাশ ৫৫ টাকা, নতুন মিনিকেট ৫২-৫৫ টাকা, পুরোনো মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, অটো স্বর্ণা ৪৫-৪৬ টাকা, পোলাও চাল ৮০-৯০ টাকা, কাটারীভোগ ৭০ টাকা, গোল্ডেন পোলাও চাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

নগরীর সাহেববাজারের ‘আল্লাহর ঘর চাউল ঘর’ এর প্রোপাইটার মো. নান্নু মিয়া বলেন, বাজারে নতুন আসা চালের দাম কিছুটা কম। তবে পুরোনো চালের দাম আগের মতই রয়েছে। কৃষকরা যদি ধান ঠিকভাবে কাটতে ও সংরক্ষণ করতে পারেন, তাহলে চালের দাম আরেকটু কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • 110
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে