বাঘায় গৃহবধূকে অপহরণ করে ধর্ষনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : বিয়ের পর চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় বাঘার গৃহবধূর সাথে রোকনের সাথে। এর পরে পরোকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন গৃহবধূ রোকনের সাথে। তারপরে গৃহবধূকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে লাগাতার রোকন। এ ঘটনায় গৃহবধূর দায়েরকৃত মামলায় রোকনুজ্জামান ওরফে রোকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে।
অপরদিকে, মামলার বাদি লাল্টুসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে রোকনকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে কাউন্টার মামলা করেছে রোকন। অপহরণ করে ধর্ষনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামী রোকনুজ্জামান।
সোমবার (২১-৬-২০২১) রাতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দু’টি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান বাঘা থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের লাল্টুর মেয়ে সিপা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর, নারায়নগঞ্জে স্বামীর সাথে চাকরি করার সুবাদে সেখানে পরিচয় হয়, খুলনা জেলার কয়রা থানার গিলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মাসুম সরকারের ছেলে রোকনুজ্জামান ওরফে রোকনের সাথে। এর এক পর্যায়ে বিবাহিত জীবনের কথা ভুলে গিয়ে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তারা। সেই সুবাদে গত ৮ জুন বিকেলে উপজেলার রুপপুর-হরিরামপুর মৃধার বাজার এলাকার মুনসুর ডাক্তারের ছেলে হুমায়ন কবিরের সহায়তায় সকলের অগোচরে লাল্টুর বাড়ির আঙিনা থেকে গৃহবধু সিপা খাতুনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোকনুজ্জামান ওরফে রোকন।
তার খোঁজ খবর নেওয়ার এক পর্যায়ে সিপা খাতুন তার পিতার মুঠোফোনে জানায়, সে নারায়নগঞ্জে রোকনুজ্জামান ওরফে রোকনের কাছে আছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখান থেকে সিপা খাতুনকে ফেরত পাঠানোর জন্য লাল্টুর কাছে ২০০০০ হাজার টাকাও চেয়েছে রোকনুজ্জামান। কৌশল অবলম্বন করে সিপা খাতুনকে নারায়নগঞ্জ থেকে লাল্টুর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়।
গত সোমবার (২১-৬-২০২১) সিপা খাতুনকে নিয়ে লাল্টুর হরিরামপুর বাড়িতে হাজির হয় রোকনুজ্জামান। এ সময় তাকে আটকে দেয়। পরে সিপা খাতুন তার পিতাকে জানায়, বিয়ের প্রলোভোনে নারায়নগঞ্জের অজ্ঞাতস্থানে রেখে ৩ বার শারিরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে।
এখবর জানার পর ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাইলে বাঘা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিপা খাতুনকেসহ রোকনুজ্জামান ওরফে রোকনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে অপহরণ করে ধর্ষনের অভিযোগে রোকনুজ্জামান ও হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, লাল্টুসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে বাড়িতে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে মামলা করেন রোকনুজ্জামান। হুমায়ন কবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রামের মেয়ে পরিচয় সুত্রে তাকে বাজার পর্যন্ত পৌঁছানোর অনুরোধ করে। সেই অনুরোধে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, শারিরিক পরীক্ষার জন্য গৃহবধুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে এবং রোকনুজ্জামানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।