লকডাউনে বের হলেই ‘কঠোর শাস্তি’

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২১; সময়: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ |
লকডাউনে বের হলেই ‘কঠোর শাস্তি’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনাভাইরাসের আগ্রাসী বিস্তার ঠেকাতে আগামী ১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে সাত দিনের বিধিনিষেধ চলাকালীন জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে সরকার।

মঙ্গলবার রাতে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে আগামী ১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে সাত দিনের জন্য জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বন্ধের বিষয়ে সরকার বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এ সময়ে জরুরি পরিষেবার সাথে জড়িত কর্মরতরা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেন, “মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভায় কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।”

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, কঠোর বিধিনিষেধসহ ১ জুলাই থেকে যে লকডাউন শুরু হচ্ছে, তখন জনসাধারণের জরুরি চলাচলের জন্য বিশেষ ‘মুভমেন্ট পাস’ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, ‘ইমারজেন্সি’ ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না। বাসায় থাকবে হবে সবাইকে। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর গত বছর মার্চের শেষ দিকে সরকার সাধারণ ছুটির আদলে লকডাউন জারি করে, যা মে মাস পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় বিধি-নিষেধও শিথিলতা আসে।

২০২১ সালের শুরুতে সংক্রমণের নিম্নগতিতে বিধি-নিষেধ ছিল না বললেও চলে। এই সময় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া পরিকল্পনাও সরকার করেছিল। কিন্তু মার্চ মাসের শেষে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি নাজুক করে তুললে এপ্রিলে সারাদেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা ছিল আগের বছরের তুলনায় শিথিল।

পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতিতে সেই বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও করোনাভাইরাসের ভারতে উদ্ভুত ডেল্টা ধরনের সংক্রমণে সীমান্ত জেলাগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে একটানা ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ ঘোষণার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কঠোর লকডাউন আসছে। তার আগে তিন দিনের সীমিত পরিসরের লকডাউন জারি করে সরকার, যার মেয়াদ বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হচ্ছে।

  • 603
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে