যে কারণে পর্নো ব্যবসায় নাম লেখান পরীমণি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমণি। পাঁচ বছর ধরে মাদকাসক্ত ঢালিউডের এই নায়িকা। এছাড়াও, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র‌্যাব।

পরীমণি টাকার নেশায় সিনেমা জগতের আড়ালে নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন বলে জানা গেছে। পরীমণির আগে গ্রেপ্তার মডেল পিয়াসাসহ অনেকেই ছিলেন পরীমণির সহযোগী।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অনেক ব্যাংকে শুভাকাঙ্ক্ষিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে মোটা অংকের টাকা থাকা সত্ত্বেও আরও টাকার জন্য তিনি মডেলদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে তোলেন। এ মডেলরা বিভিন্ন উচ্চবিত্ত শ্রেণির কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেইল করত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পরীমণি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে পরীমনিকে রাজধানীর বনানী থানায় হাজির করে র‌্যাব। এরপর সন্ধ্যার দিকে বনানী থানায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এসময় নায়িকাকে এক নজর দেখতে থানায় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, অভিনেত্রী পরীমণি ও চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে থানায় নিয়ে আসেন র‍্যাব সদস্যরা। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে র‍্যাব বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলা শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, পরীমণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মাদক ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের দখলে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, এলএসডি, আইস ও সিসা রেখেছিল। যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। এ কারণেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, ভয়ংকর মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে র‌্যাব।