দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে টিকাদানে সপ্তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১; সময়: ৭:২০ অপরাহ্ণ |
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে টিকাদানে সপ্তম বাংলাদেশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনার টিকাদানে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশ কেবল আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচিতে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে করোনা টিকার বৈশ্বিক পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণায় মিলেছে এমন তথ্য।

ওয়েবসাইটে থাকা ‘করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনেশনস’শিরোনামের একটি গবেষণার তথ্য মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানে শীর্ষে রয়েছে ভুটান। সেখানে পূর্ণডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে ৬২ শতাংশ নাগরিক। এছাড়াও ৫২ শতাংশ নাগরিককে টিকা দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ।এদিকে বাকি দেশগুলোর মধ্যে শুধু শ্রীলঙ্কা ছাড়া আর কোনদেশই দশ শতাংশের বেশি নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে পারেনি।

সূত্র বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পূর্ণডোজ টিকাদানে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশে। দেশে ২ দশমিক ৭ শতাংশ নাগরিককে ২ ডোজ করে টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে। সেইসঙ্গে দেশে একডোজ টিকা নেওয়া নাগরিকের হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে কয়েকমাস আগে করোনা সংক্রমণে নাস্তানাবুদ হওয়া বিশ্বের অন্যতম দেশ ভারত। যারা দুই ডোজ টিকা দিয়েছে ৮ শতাংশ নাগরিককে। আর ২০ শতাংশ নাগরিক নিয়েছে এক ডোজ করে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যার অবস্থান চার এ। এছাড়াও নেপাল ও পাকিস্তান যথাক্রমে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ২ দশমিক ০৬ শতাংশ নাগরিককে পূর্ণডোজ টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।

‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’র সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ নাগরিক একডোজ করোনার টিকার আওতায় এসেছেন। আর পূর্ণডোজ টিকা নিয়েছেন ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপি প্রায় চার দশমিক ০৪ বিলিয়ন মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বে দৈনিক সাড়ে চার কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হলেও অনুন্নত দেশগেুলোর নাগরিকদের অন্তত একডোজ টিকা নেওয়ার হার ১ দশমিক ১ শতাংশ।

দেশব্যাপী কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের বিষয়ে গেলো শুক্রবার (৭ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশে টিকার ঘাটতি থাকলেও সবাইকে টিকা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

প্রসঙ্গত, আসন্ন গণটিকাদান কর্মসূচিতে, দেশের চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারীর মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে কোভিড ১৯ এর টিকাদান শুরু হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে