বাগমারায় প্রধান শিক্ষককে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় প্রধান শিক্ষককে নানা ভাবে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে বাগমারা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুগাইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদ।
লিখিত তিনি একই এলাকার আবুল কাসেম কবিরাজের ছেলে মাসুদ রানা ও তার বাহিনীর চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্মের বিবরণ তুলে ধরেন। প্রধান শিক্ষক বলেন, মাসুদ রানা ও বাহিনীর সদস্য মুগাইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন নির্মাণের সময় প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ঠিকাদারের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন।
পরে ঠিকাদাররা তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করলে মাসুদ রানা ও বাহিনীর সদস্যরা ভয়ভীতি ও মারপিটের হুমকি প্রদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে ঠিকাদারের লোকজন প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা দিতে রাজি হলে তারা ওই টাকা গ্রহন না করে উল্টো ঠিকাদারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদকে তাদের নাম করে টাকা টাকা উঠিয়ে তা আত্মসাতের অপবাদ দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্য প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদ মাসুদ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, তারা দিনে দুপুরে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া মাসুদ বাহিনী বঙ্গবন্ধু তথ্য প্রযুক্তিলীগ নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন দাঁড় করিয়ে এবং এই নামে এলাকায় ব্যানার ফেসটুন লাগিয়ে এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবি মহলের কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
তারা এলাকায় সরকারি রাস্তা সংলগ্ন স্কুলের জমি দখল করে রাতারাতি ঘর তৈরি করে তা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া মাসুদের এক শ্যালক পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা হওয়ায় মাসুদ তার নাম ভাঙ্গিয়ে এবং এলাকায় নিরীহ লোকজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানের হুমকি দিয়েও চাঁদাবাজি চালাতে থাকে।
সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক আরো জানান, এর আগে মির্জাপুর বিরহী গ্রামে একটি খাসপুরের মাছ লুটের মামলায় মাসুদকে তিন মাস হাজতবাস খাটতে হয়। এই জেল খাটার সুবাধে মাসুদ রাজশাহীর অগ্রনী স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখান্ত হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাসুদ রানা তার বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন।
57