রাজশাহীতে এক বিঘা জমির পাট জাগ দিলে পুকুর মালিক পাচ্ছেন ১৫০০ টাকা

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১; সময়: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ |
রাজশাহীতে এক বিঘা জমির পাট জাগ দিলে পুকুর মালিক পাচ্ছেন ১৫০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাঘায়সহ আরো কিছু উপজেলায় এক বিঘা জমির পাট জাগ দিলে পুকুর মালিককে দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এলাকায় বৃষ্টি নেই। পুকুর মালিক শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি জমিয়ে রেখে পুকুর প্রস্তুত করে রেখেছেন। সেই পুকুরে এলাকার চাষিরা পাট জাগ দিচ্ছেন। এমননিভাবে পাট চাষিদের সহযোগিতা করছেন আড়ানী পৌরসভার জোতরঘু গ্রামের বেলাল হোসেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এবার চাষীরা ৩২০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। গতবার চাষ হয়েছিল দুই হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে। এবার পাট চাষে মোটামুটি অনুকূল আবহাওয়া ছিল। কিন্তু শুরুর দিকে কোনো কোনো স্থানে বেশি বৃষ্টিপাতে কিছু রোপন করা পাট নষ্ট হয়েছিল। বর্তমানে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আঁশ ছড়ানো এবং শুকানোর কাজ করছেন চাষীরা। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ইতিমধ্যে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে।

হামিদকুড়াগ্রামের পাট চাষি আলম হোসেন বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। বৃষ্টি না থাকায় পাট জাগ দিতে পার ছিলাম না। পাট কাটার পর জানতে পারলাম বেলাল হোসেনন ামের এক ব্যক্তি নিজের শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে পাট জাগ দেয়ার জন্য পুকুর প্রস্তুত করে রেখেছেন। এক বিঘা জমির পাট জাগ দিলে দিতে হবে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আমি তার সাথে যোগাযোগ করে পাট জাগ দিয়েছি। আমার মতো অনেকেই এই পুকুরে পাট জাগ দিয়েছেন।

জোতরঘুগ্রামের পুকুর মালিক বেলাল হোসেন বলেন, এলাকায় অনেক দিন থেকে বৃষ্টি নেই। আগের একটু পানি ছিল, এতে এসে পাট জাগ দিতে চাচ্ছিলেন চাষিরা। আমি চিন্তা করে দেখলাম, আমার শ্যালো মেশিন আছে, এই মেশিন দিয়ে পুকুরে পানি দিয়ে প্রস্তুত করি। তারপর চাষিদের একটি শর্তে পাটজাত দিতে অনুমতি দিয়েছি।

এদিকে শুক্রবার (৬ আগস্ট) উপজেলার দিঘাহাটে পাট বিক্রি করতে আসেন দিঘা গ্রামের মকুল হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে লাঙ্গল, বীজ সেচ, কাটা, পরিস্কার করা, সারসহ যাবতীয় খরচ হয় সাড়ে সাত থেকে আট হাজার টাকা। এবার উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১২ মণ। বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ হাজার টাকা থেকে ১৩ হাজার টাকায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এবারে বৃষ্টি না থাকায় অনেক পাট চাষিরা পুকুর ভাড়া নিয়ে আবার কেউ কেউ বিঘা প্রতি পুকুরে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে চাষিদের খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে। কোন উপায় নেই। আবাদ করলে একটু খরচ কষ্ট করতে হয়। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ইতিমধ্যে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাট-বাজারে মানভেদে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।

  • 766
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে