রাজশাহীতে চোরাই অটোরিকশাসহ দুই চোর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক : আরএমপি ডামকুড়া থানা পুলিশের অভিযানে চুরি করা অটোরিকশাসহ দুই চোর কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ১৬ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যে এ তথ্য জানান আরএমপি পুলিশ।
পুলিশ জানান, গত ১৫/০৮/২০২১ তারিখ বিকাল ০৪.০০ ঘটিকার সময় একটি খয়েরী রঙের ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, যাহার নম্বর-রাসিক-খ-০৬৯২ এর ড্রাইভার মোঃ রহিদুল ইসলাম (৪২), পিতা-মোঃ নুরুল ইসলাম, সাং-বড়বন গ্রাম রায়পাড়া, থানা-শাহ্ মখদুম, মহানগর রাজশাহী উক্ত অটোরিক্সা নিয়ে শাহ্ মখদুম থানাধীন উত্তর নওদাপাড়া সিটিহাট মোড়ে বাবলুর হোটেলের পশ্চিম পার্শ্বে ফাঁকা জায়গায় রেখে রাস্তার বিপরীত দিকে টাকা খুচরা করতে যান।
টাকা খুচরা করে এসে দেখেন যে, তার অটোরিক্সাটি চুরি করে নিয়া পালিয়েছে চোর। অনেক খোঁজাখুজি করেও চুরি যাওয়া অটোরিক্সাটি কোথাও না পেয়ে অটোরিক্সার মালিক মোঃ মতিউর রহমান সোহাগ, পিতা-মৃত জাহিদ হোসেন সাইদ, সাং-বড়বনগ্রাম রায়পাড়া, থানা-শাহ্ মখদুম, মহানগর রাজশাহী ইং ১৬/০৮/২০২১ তারিখ রাজশাহী মহানগরীর শাহ্ মখদুম থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৪, তাং- ১৬/০৮/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড।
শাহ্ মখদুম থানার বেতার বার্তা নং-১২, তাং-১৬/০৮/২০২১ ইং মূলে অফিসার ইনচার্জ, দামকুড়া থানার নেতৃত্বে এসআই শ্রী সুভাষ চন্দ্র বর্ম্মণ সঙ্গীয় ফোর্সসহ উক্ত চোরাই অটোরিক্সা উদ্ধারের লক্ষ্যে একটি টিম সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট ও অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশের তৎপরতা জানতে পেরে আসামীরা চোরাই অটোরিক্সাটি দামকুড়া থানাধীন আলীমগঞ্জ জবির মোড়ে ফেলে রেখে অটোরিক্সার ব্যাটারী খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে দামকুড়া থানা পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে দামকুড়া থানাধীন টেংরামারী এলাকা হতে আসামী মোঃ শামিম (৩২) কে ধৃত করে। ধৃত আসামী মোঃ শামিম (৩২) এর দেয়া তথ্যমতে উক্ত চোরাই অটোরিক্সার ০৩ (তিন) টি ব্যাটারীসহ অপর আসামী মোঃ সোনারুল (৫০) কে ধৃত করা হয়। এবং তারা জানায় যে, আরও ০২ (দুই) টি ব্যাটারী তারা গোদাগাড়ী থানা এলাকায় বিক্রি করেছে। আসামীদ্বয়কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা শাহ্ মখদুম থানা এলাকার ঐ অটোরিক্সা চুরির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের নিকট হতে উক্ত চোরাই অটোরিক্সার ব্যাটারি বিক্রির নগদ ৭,৫০০/- (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি শাহ্ মখদুম থানাকে অবহিত করলে উল্লেখিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুয়েল রানা দামকুড়া থানায় আসেন এবং জব্দকৃত উক্ত চোরাই অটোরিক্সা, ব্যাটারী ও ব্যাটারী বিক্রির নগদ টাকাসহ ধৃত আসামীদের নিজ হেফাজতে গ্রহণ করেন।
199