গুরুদাসপুরে নদী দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১; সময়: ৫:২৮ অপরাহ্ণ |
গুরুদাসপুরে নদী দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরে নন্দকুজা নদী দখল করে পাকা ঘড় নির্মানের অভিযোগ উঠেছে দুই প্রভাবশালী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই দুই ব্যাংক কর্মকর্তা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পাকা ঘড় নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন।

সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর বাজারের বাঁশ ও কলা বাজারের পাশে নন্দকুজা নদী দখল করে স্থায়ী পাকা ঘড় নির্মান করছেন স্থানীয় অগ্রনী ব্যাংক কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেন ও জহির রায়হান।

সম্প্রতি তারা দুজন ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর স্থানীয় মমতাজ বেগম ও তাঁর ৫ বোনের নিকট থেকে নাজিরপুর মৌজার ৮.২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দাগ নম্বর ১৭৬। বেল্লাল তার স্ত্রী মোছা নুর মোস্তাকিমা খাতুন ও জহির রায়হান তার স্ত্রী রুমা বেগমের নামে রেজিষ্ট্রি করেছেন। তবে পাকা ঘড় নির্মান কাজের তদারকি করছেন তারাই।

ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা গোপাল কুমার সিংহ জানান,অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ শেষে সিমানা নির্ধারন করে দিয়ে ছিলেন। কেউ আইন অমান্য করে দখল কাজে জড়িত থাকলে সে দায় তার। তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওই ভুমি কর্মকর্তা।

নাজিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জনান, পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে বলা হলেও তারা অমান্য করে চলমান রেখেছেন। সচেতন মানুষদের নদী দখলের মতো এমন কাজে তিনি বিস্মিত।

অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি পরিচয় গোপন করে যার জমি তার সাথে কথা বলতে পরামর্শ দিয়ে ফোন কেটে বন্ধ রাখেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রাসেল জানান,অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিমানা নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। যদি তারা আইন অমান্য করে দখলকৃত স্থানে স্থাপনা নির্মান কাজ চলমান রেখে থাকেন তবে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • 21
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে