হাসান আজিজুল হককে করোনা ইউনিটে ভর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউতে) স্থানান্তর করা হয়েছে। মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হলেও নিউমোনিয়া থাকায় তাকে হাসপাতালটির করোনা জোনের পর্যবেক্ষন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
রোববার (২২ আগস্ট) সকালে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসান আজিজুল হককে শনিবার রাতে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়েছে। নিউমোনিয়া থাকায় তাকে সাসপেক্টেড কোভিড জোনের ২২০ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। আজ (রোববার) তার সিটিস্ক্যান করা হবে। এছাড়াও তার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হবে।
এর আগে শনিবার সকালে রাজশাহী থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে হৃদযন্ত্রের সমস্যা তেমন গুরুতর না হওয়ায় ও শারীরিক অন্য জটিলতা থাকায় তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে ঢাকায় আনার সময় বিমানবন্দরে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও হার্ট, ডায়াবেটিস ও হাইপোন্যাট্রিমিয়ায় সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এছাড়াও মাস খানেক আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে কমরে আঘাত পান। এক্সরে করলে সেখানে হালকা ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে।
হাসান আজিজুল হক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অধ্যাপনা করেন।
১৯৬০-এর দশকে তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। ২০১৮ সালে তাকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধি দেওয়া হয়।