শ্রমিকদের বেতনের ২৫ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১; সময়: ২:১৫ অপরাহ্ণ |
শ্রমিকদের বেতনের ২৫ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার দাবি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যতদিন করোনার প্রকোপ থাকবে, ততোদিন শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা হিসেবে বেতনের ২৫ শতাংশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল।

একইসঙ্গে যদি লকডাউনে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়, তাহলে ওই শ্রমিকদের বেতনের ৫০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা প্রদানসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রোববার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থেকে এসব দাবি জানান কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন স্বপন।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— গত ১ আগস্ট কারখানা খোলার পর যেসব কারখানা লকডাউনে বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির দিনে অতিরিক্ত কাজ করিয়েছে সেসব কারখানায় শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজের টাকা ওভারটাইম হিসেবে পরিশোধ করতে হবে; যেসব কারখানা লকডাউনে বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শ্রমিকদের মজুরি কর্তন করেছে, সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে কর্তন করা মজুরির টাকা শ্রমিকদের ফেরত দিতে হবে; ঈদের ছুটির পর শ্রমিকদের কর্মস্থলে আসতে যে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিতে প্রত্যেক শ্রমিককে ৩ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ভাতা দিতে হবে; দ্রুত সময়ে শ্রমিকদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশনের সব প্রকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধা দূর করার মাধ্যমে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা।

একই সঙ্গে শ্রম অধিদফতর (ডল) এবং কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডাইফে) থেকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করা; শ্রমিক নেতা এবং সাধারণ শ্রমিকদের নামে যেসব মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রম বান্ধব করাসহ আইন সংশোধনী কমিটিতে আইবিসির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।

লিখিত বক্তব্যে সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, আপনারা অবগত আছেন, শ্রম আইন-২০০৬ ইতোমধ্যেই ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। প্রতিবারই আইন সংশোধনের সময় যদি শ্রমিকদের পক্ষে একটি ধারা সংযোজন করা হয়, তার বিপরীতে মালিকদের পক্ষে পাঁচটি ধারা বা উপ-ধারার সংযোজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলে, আমরা সবাই জানি অনেক প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা গার্মেন্টস কারখানার মালিক, এবং সরকারের সিটি মেয়রসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক মন্ত্রীও রয়েছেন ব্যবসায়ীদের তালিকায়, যা আইন প্রণয়নকে সবসময় প্রভাবিত করে আসছে। আমরা আইন প্রণয়নে কোনো প্রকার প্রভাব দেখতে চাই না। আমরা চাই সংশোধনের মাধ্যমে যেন শ্রম বান্ধব একটি শ্রম আইন তৈরি হয়। যা শ্রমিক মালিক সবার স্বার্থই রক্ষা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল হক আমিন, তৌহিদুর রহমান, জেড এম কামরুল আনাম প্রমুখ।

  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে