লেনদেনের দিন থেকে সুদ নয় ক্রেডিট কার্ডে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১; সময়: ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ |
লেনদেনের দিন থেকে সুদ নয় ক্রেডিট কার্ডে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ক্রেডিট কার্ড দিয়ে গ্রাহকের লেনদেনের দিন থেকে ব্যবহৃত অর্থের ওপর কোনো ক্রমেই সুদ আরোপ করা যাবে না। বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের পরের দিন থেকে অপরিশোধিত বিলের অর্থের ওপর সুদ বা মুনাফা আরোপ করতে হবে। এর আগে কোনো সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে না। এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রভাইডারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বিলম্বে পরিশোধিত কোনো বিলের বিপরীতে শুধু একবার বিলম্ব ফি (অন্য যে কোনো নামেই অভিহিত হোক না কেন) আদায় করা যাবে। একবারের বেশি কোনোক্রমেই এ ফি আদায় করা যাবে না। এদিকে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ক্ষেত্রে লেনদেনের সর্বোচ্চ মাসিক সীমা ২ লাখ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নিজস্ব ব্যবসায়িক নীতি অনুযায়ী ফি আদায় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনার বিধিনিষেধ চলাকালীন এ ফি বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ সার্কুলারের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আরোপিত বিধিনিষেধ ও সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের বিল পরিশোধে যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রেও ছাড়ের সুবিধা তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার বিধিনিষেধ চলাকালীন ক্রেডিট বিল পরিশোধ করতে না পারার কারণে যাতে কোনো ধরনের বিলম্ব ফি আরোপ না করে এবং আরোপিত সুদের ওপর যাতে কোনো ধরনের দণ্ড সুদ আরোপ না করে সেজন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করায় এখন থেকে আলোচ্য নিয়মে সুদ আরোপ ও বিল আদায় করতে হবে। করোনার বিধিনিষেধের সময় নগদ লেনদেনের পরিবর্তে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ব্যাপক অর্থের লেনদেন হয়েছে।

এ কারণে এ খাতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির লেনদেনের মাসিক সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়। এ বর্ধিত সীমা এখনও বহাল রাখা হয়েছে। তবে লেনদেনের বিপরীতে ফি আদায়ের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার সময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি লেনদেনের ক্ষেত্রে মাসিক ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোনো ফি আদায় করা যেত না। একক লেনদেনের ক্ষেত্রে এ সীমা ছিল ১০ হাজার টাকা। এখন এসব ক্ষেত্রে কোম্পানি তার নিজস্ব ব্যবসায়িক নীতি অনুযায়ী ফি আদায় করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে