‘তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়লে সামাল দেয়া কঠিন’

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১; সময়: ১১:২১ অপরাহ্ণ |
‘তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়লে সামাল দেয়া কঠিন’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে সামাল দেওয়া কঠিন হতে পারে।

বর্তমানে দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে এসেছে। এখন বর্ষার মৌসুম, অনেকেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও সাধারণ সর্দি-জ্বর বা কাশিতে আক্রান্ত বলে ধরে নিচ্ছেন। পরীক্ষা বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন না। আমরা মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করার পরামর্শ দিয়েছি। বাড়ি বাড়ি রোগীর খোঁজ রাখতে বলেছি।’

রংপুর বিভাগে চার দিনের সফরকালে শুক্রবার নীলফামারীর হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে রংপুর বিভাগ পরিদর্শনে আসেন।

এই বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা থেকে নীলফামারী আসেন। রাতেই নীলফামারীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

আজ সকালে তিনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পরিদর্শনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, ডিডি ডা. জসীমউদ্দিন, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মইনুল আহসান বাপ্পি ও নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।

এরপর নীলফামারীর ডোমার উপজেলা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও তিনবিঘা অতিক্রম করে সাবেক ছিটমহলে স্থাপিত আঙরপোতা ৫০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি চার দিনের এ সফরকালে কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, রংপুর, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলার হাসপাতালগুলো পরিদর্শন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন।

খুরশীদ আলম বলেন, ‘মহামারি করোনার সংক্রমণ আর যেন না বাড়ে, সেজন্য ছোট-বড় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমরা প্রথম ঢেউ অতিক্রম শেষে এখন দ্বিতীয় ঢেউ অতিক্রম করছি। এটি সামাল দিতে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের সব নাগরিকদের টিকা দিতে সরকার টিকা আমদানি অব্যাহত রেখেছে। এখন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও করোনার টিকা নিতে পারবেন। করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া আছে। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশে প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।’

  • 136
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে