ভরা মৌসুমেও রাজশাহীতে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১; সময়: ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ |
ভরা মৌসুমেও রাজশাহীতে ইলিশের দাম চড়া

তারেক মাহমুদ : সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশের দেখা মিললেও ভরা মৌসুমে রাজশাহীর বাজারে ইলিশের দাম চড়া। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) মাছের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও দাম বেশি থাকায় ক্রেতারা ইলিশ কম কিনছেন।

অন্যদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে বেড়েছে তেল, চিনি ও আটার দাম দাম। চিনি কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা, তেল ৫ টাকা ও আটা ৩ টাকা।

এছাড়াও অন্যনো মুদি সামগ্রী, মাংস ও সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আর কেজিতে দুই টাকা করে কমেছে আঁঠাশ চালের দাম। নদী ও খাল বিলে পানি বেশি থাকায় মাছের আমদানি বেড়েছে। এর সাথে সাথে সব ধরণের মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে।

শুক্রবার রাজশাহীর সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কেজি প্রতি বড় ইলিশ দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। আর সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ গ্রামের ইলিশের দাম সাড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

বাজারে আমদানি বেশি হলেও দাম কমেনি। অন্যদিকে রুই মাছে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা, কাতল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে এক হাজার টাকা, সিলভার ১২০ থেকে ১৬০ টাকা এছাড়াও নদী ও দেশি প্রজাতির মাছে দাম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

মাছ কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুর রহমান ও সবুজ জানাচ্ছেন, এই মৌসুমেই বাজারে ইলিশ বেশি পাওয়া যায়। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরে কেজি প্রতি ইলিশ মাছের দাম ১০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি। বর্তমানে ১৪০০ টাকার ইলিশ গত বছর বিক্রি হয়েছিলো এক হাজার টাকায়। তবে অন্য মাছের দাম কমেছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।

ভোলা মাছ ভান্ডারের বিক্রেতা ভোলা জানান, ইলিশের আমদানি বেশি হলেও পাইকারি একটু বেশি দামে কেনা তাই গত বছরের চেয়ে এ বছর দাম একটু বেশি। প্রকার ভেদে ইলিশ সর্বনিম্ন ৫৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০০ কাটায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, মুদি সামগ্রীর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে কেজি দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা, তেল ১৩০ টাকা, আটা ৩৫ টাকা। ৫ লিটারের রুপচাঁদা তেলের বোতল ৬৯৫ টাকা, তীর ৫ লিটারের বোতল ৬৭৫ টাকা, ফ্রেশ ৬৭০ টাকা, বসুন্ধরা ৬৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই তিনটি পণ্যে বাদে বাকি পণ্যে গুলোর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সাহেব বাজারের মুদী দোকানি শাহ্ আলম জানান, পাইকারি ভাবেই তেল, চিনি ও আটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই খুচরা বাজারে দাম বেশি। বাজার করতে ক্রেতারা জানাচ্ছেন, তেল চিনি ও আটা এই তিনটি পণ্যে দিয়েই বেশির ভাগ খাবার তৈরি হয়। তাই বেকারি সামগ্রীসহ অন্যনো বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

অন্যানো পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে স্থিতিশীল রয়েছে, শাক-সবজি, ও মাংসের বাজার। সকল প্রকার সবজি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। আর গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাঁসি ৮০০ টাকা ও মুরগির বাজারে বয়লার ১৩০ টাকা, সোনালী ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

  • 241
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে