রি-টেন্ডারে জনশুমারি পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১; সময়: ১২:৩২ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
রি-টেন্ডারে জনশুমারি পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রতি ১০ বছর পর পর দেশে আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী ‘আদমশুমারি ও গৃহগণনা’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ করা হয়েছে। ১০ বছর পর এবার দেশে ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

তবে করোনা ও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় ১০ মাস পিছিয়েছে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ। ১০ মাস পিছিয়ে মূল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রি-টেন্ডারে জনশুমারি পিছিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলামকে গত দুই দিন ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

বিবিএসের তথ্যমতে, বিবিএসের পরিচালিত বৃহত্তম পরিসংখ্যানিক কর্মকাণ্ড হলো ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ এর মাধ্যমে দেশের খানার সংখ্যা, খানায় বসবাসকারী সদস্যদের সংখ্যা, আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করা হবে। এসব তথ্য দেশের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এবারের শুমারিতে আইসিআর প্রশ্নপত্রের পাশাপাশি মাল্টি মোড (ট্যাব, পিক অ্যান্ড ড্রপ, টেলিফোন ইন্টারভিউ) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। একই সঙ্গে এবারই প্রথম বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের (প্রবাসী) তথ্য সংগ্রহ করার ভাবনা ছিল বিবিএস।

কিন্তু পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নতুন সচিবের দায়িত্ব নেওয়া এবং প্রকল্প পরিচালকসহ উপ-প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনে জনশুমারি থেকে অনেক খাত বাদ দিয়ে সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে। এরই আওতায় এবারের শুমারিতে আইসিআর প্রশ্নপত্রের পদ্ধতি বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ ডিজিটালি তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিবিএস। এরই পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও জনশুমারির গণনার আওতা থেকে বাদ দিয়েছে বর্তমান প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত শুমারি সপ্তাহ অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনার সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। এ লক্ষ্যে ট্যাব কিনতে টেন্ডার আহ্বান করলে দুটি কোম্পানি এতে অংশগ্রহণ করে। পরে দরপত্র মূল্যায়ন উপ-কমিটি, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি, বিবিএস এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তা উপস্থাপন করা হয় ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে।

কিন্তু মন্ত্রিসভা কমিটি বিবিএসের সুপারিশ গ্রহণ না করে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত দেয়। যার ফলে নির্ধারিত সময়ে জনশুমারি সম্পন্ন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

  • 17
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে