রাবিতে হল বন্ধ রেখে ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১; সময়: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ |
রাবিতে হল বন্ধ রেখে ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে দুশ্চিন্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষার সময় হল খোলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাত্তার। এদিকে ৩ দিন ব্যাপী এই ভর্তিপরীক্ষায় বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছুকে রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে অনতিবিলম্বে হল খোলার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রিদম শাহরিয়ার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ রেখে পরীক্ষার শুরু করায় শিক্ষার্থীরা রাজশাহীতে মেস নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ২ জনের রুমে ৪ জন থেকে অনেকে চলমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। সামনে আসছে ভর্তি পরীক্ষা। হল খোলা না হলে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের থাকা খাওয়া নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হবে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিয়ে কোনো চিন্তাই করছে না।

শিক্ষার্থীরা জানান, সেপ্টেম্বরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের আটকে থাকা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিভাগের ফরম ফিল আপ কার্যক্রমও চলছে। ফলত আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের চাপ সামলাচ্ছে শহরের বিভিন্ন মেসগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ভাড়া গুনে গাদাগাদি করে থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় ভর্তি পরীক্ষায় হল না খুললে অবস্থা আরও খারাপ হবে।

তারা জানান, এই সুযোগে মেস মালিকরা ভাড়া বাড়ানো শুরু করেছেন। নানা অজুহাতে ভর্তিচ্ছু প্রতি দুইশ টাকা পর্যন্তও দিতে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অনেক মেস মালিক। অধিকাংশ ভর্তিচ্ছুরই হোটেল ভাড়া করে থাকার মত সক্ষমতা নেই। এছাড়া এই করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি বিষয় তো আছে। মেসগুলোতে নিয়মিত বোর্ডাররাই অল্প জায়গায় গাদাগাদি করে থাকেন। তারওপর বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু তো মেসগুলোতে চাপ বাড়াবে, তারওপর স্বাস্থ্যগত বিষয়টিও মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।

এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রবিবার উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ওরাতো (শিক্ষার্থীরা) আবেগের জায়গা থেকে বলবেই, এখন আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি। আমাদের খারাপ লাগছে যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা সময় হল খুলতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা যেন অন্তত এক ডোজ নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে।

তিনি আরও বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৮০% প্রথম ডোজ না নেয় তাহলে আবার বিবেচনা করবে। সে কারণে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিমিট করে দিয়েছে। আগামী ১০ দিনের মাঝে কত হারে শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়েছে সে তথ্যগুলো আমরা নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার ব্যাপারে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে