জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশ সেরা গুরুদাসপুরের দুই ইউনিয়ন পরিষদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১; সময়: ৬:১৬ অপরাহ্ণ |
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশ সেরা গুরুদাসপুরের দুই ইউনিয়ন পরিষদ

এস এম ইসাহক আলী রাজু, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ও ধারাবারিষ ইউনিয়ন পরিষদ জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে দেশ সেরা হয়েছে এবং প্রশাসনিক বিভাগ পর্যায়ে একই উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নকে স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এ স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নাটোরের জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট দুইটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, গত ৪ মাস আগে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সচিব, গ্রাম পুলিশ, উদ্যোক্তাদের নিয়ে মিটিং করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনটা কেন কি কারণে জরুরী সেটা বুঝিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তমাল হোসেন। তাছাড়াও প্রতি সপ্তাহে একটি করে জুম মিটিং এর মাধ্যমে ফলোআপ নিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তমাল হোসেন।

সর্বশেষ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ক্যাম্প করা হয় প্রতিটি ইউনিয়নে। ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনসাধারণকে উদ্বুধ্য করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহম্দে। গত আগস্ট মাসে ০-৪৫ দিন বয়সী মোট জন্মগ্রহণ করা ৬৮% শিশুদের নিবন্ধন করানো সম্ভব হয়েছে। এক বছর বয়সী বাচ্চার ক্ষেত্রে ১৪১% সম্পন্ন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে শতকরা ১০০% নিবন্ধন সম্পুন্ন করা হয়েছে।

বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মো.মোজাম্মেল হক জানান, সকলের সহযোগিতায় এই প্রাপ্তি বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের। আমরা চাই আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রতিটি পদক্ষেপ হবে সফলতার।

ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আব্দুল মতিন জানান, এ অর্জন ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের একার নয়। এ অর্জন এলাকার সকলের। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে আমরা সেই চেষ্টাই করে যাবো
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তমাল হোসেন জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক মনিটরিং এর মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা ট্রাক্সফোর্স ও ইউনিয়ন ট্রাক্সফোর্স কমিটির ভূমিকাও অনেক সক্রিয় ছিলো।

উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে ফ্রি সার্টিফিকেট ও একটি করে টাওয়াল। তাছাড়াও প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে ব্যপক পরিমাণে। প্রতিটি ইউনিয়নে ক্যাম্পের মাধ্যমে সকলকে উদ্বুধ্য করা হয়েছে। ক্যাম্পে মান্যবর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক স্যার ও উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্বুধ্য করেছেন। এছাড়াও উপজেলা সহকারী পোগ্রামার শাহীন ও রোভার স্কাউট সদস্য রাসেলসহ যারা এই কাজে সহযোগিতা করেছে তাদের কেও অনেক ধন্যবাদ জানাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক মো.আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ৪ হাজার ৫৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে গুরুদাসপুরের দুইটি ইউনিয়ন বাংলাদেশের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে