তানোরে আ.লীগের দু’পক্ষের মারামারির ঘটনায় আবারো উত্তেজনা
সাইদ সাজু, তানোর : তানোরে আ’ লীগের দু’ গ্রুপের মারামারির ঘটনায় শনিবার বিকালে থানা মোড়ে দু’পক্ষের মধ্যে আবারো উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ উভয় পক্ষের নেতা কর্মিদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
দলীয় নেতাকর্মি ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, রাব্বানী মামুন গ্রুপের পক্ষের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আবেদন জমা নেয়ার জন্য শনিবার বিকালে পৌর সভা ভবন চত্বরে তানোর উপজেলা আ’ লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভার আহবান করা হয়।
নেতাকর্মি সমর্থকরা পৌর সভা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন এমন খবর পেয়ে ময়নার সমর্থকদের মধ্যে উত্তজনা ঝড়িয়ে পড়ে এসময় তারা থানা মোড়ে অবস্থান নেন।
এসময় বিকাল ৪ টার দিকে তানোর উপজেলা আ’ লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও তানোর উপজেলা আ’ লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজ নিজ গাড়ী নিয়ে থানা মোড়ে আসামাত্রই তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না গ্রুপের নেতাকর্মি সমর্থকরা তাদের আটকে দেন।
এসময় উভয় পক্ষের কর্মি সমর্থকদের মধ্যে উত্তজনা ঝড়িয়ে পড়লে তানোর থানা পুলিশ উত্তেজিত নেতাকর্মিদের ছত্রভঙ্গ করে রাব্বানী ও মামুনকে ফিরিয়ে দেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে, রাব্বানী মামুন পৌরসভায় তাদের বর্ধিত সভা করতে পারেননি।
তবে, শুক্রবার বিকালে অডিটরিয়ামে মারামারির ঘটনায় কোন পক্ষোই থানায় কোন অভিযোগ করেননি বলে জানান তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা আ’ লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, শুক্রবার বিকালে অডিটরিয়ামে আমাদের পক্ষের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আবেদন জমা দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, জেলা কমিটির অনুমতি নিয়ে আমাদের পক্ষের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আবেদন জমা নেয়ার জন্য পৌর সভা চত্বরে সভার আহবান করা হয়েছিলো।