৪৬ বছর ধরে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে : সেতুমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সেতুমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দীর্ঘদিনেও আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি। দেশে ৪৬ বছর আগেই প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছে। এই প্রতিহিংসার রাজনীতির ধারাবাহিকতা এখনও আমাদের দেশে চলছে। ৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের প্রতি আমাদের একটি আবিষ্ঠতা আছে, আছন্নতা আছে। বারবার এ প্রসঙ্গ উঠে আসবে।
তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ড কিভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কারা ছিল মঞ্চে, কারা ছিলে নেপথ্যে? ৭৫-এর ১৫ই আগষ্টের হত্যাকারীদের কারা পুরুস্কৃত করেছে? কারা পুনবার্সন করেছে, কারা হত্যাকারীদের বিচার রোধে কারা কাজ করেছিল সে সময় জাতীয় সংসদে। সেই ইতিহাস ভুলে যাব আমরা?
তিনি আরও বলেন, এই হত্যার রাজনীতি কারা শুরু করেছিল। কার ইঙ্গিত ও ধারাবাহিকতায় ক্যাপ্টেন মনছুর আলীসহ জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ড করা হয়। একই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে ১২ আগষ্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে সেদিন রক্তের বন্যা বহিয়ে দেয় ২৩নং এভিনিউয়ে।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি মিলনায়তনে প্রয়াত জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসিবুর রহমান স্বপনের শোক সভায় ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে ভাচুর্য়াল বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে। হত্যার রাজনীতির পরিণতি অনিবার্য পরিনতি। আমরা আজো এ হত্যা প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।
শোকসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আ’লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. কে এম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য্য, জাতীয় সংসদ সদস্য সিরাজগঞ্জ-২ ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান শফি, উপজেলা আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান ও প্রয়াত এমপি স্বপনের জ্যৈষ্ঠ কন্যা ডাঃ ফারজানা রহমান সম্পা ও পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী।
এসময় বক্তরা প্রয়াত এমপি স্বপনের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।