বেলপুকুরে নৌকার মাঝি হতে চান মুরাদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১; সময়: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ |
বেলপুকুরে নৌকার মাঝি হতে চান মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলাধীন পুঠিয়া উপজেলার অন্তর্গত বেলপুকুরিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান ফজলে রাব্বি মুরাদ। ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন রকম সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে সরব রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে।

নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার আগেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তোড়জোড় বেড়েছে। ফজলে রাব্বি মুরাদের রাজনীতির জীবন চলার পথে অনেক বাধাঁ-বিপত্তি আসলেও তিনি হার মানেননি। সংগঠন কে গতিশীল করার লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) তাজুল ইসলাম ফারুক এর হাত ধরে ১৯৯৫ সাল হতে রাজনীতি শুরু করে।

২০০১ সালে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত্রিতে তার বাসায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ হামলায় মুরাদের দাদি গুরুতর আহত হন। আহত হওয়ার প্রায়য় ৪ মাস পরে তার দাদি ইন্তেকাল করেন। ২০০১ হইতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ এর দুঃসময়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন ও কয়েকবার বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আহত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার (২০০৬ হতে ২০০৮) : মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন এর সময় রাজপথে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ২০০৮-এ জাতীয় নির্বাচন ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমানে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা-এর পক্ষে ব্যাপক কার্যক্রমের মাধ্যমে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনকালীন সময় ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়াররি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের নাশকতায় সারা বাংলাদেশে যে তান্ডব জালাও-পোড়াও করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকারী রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছিল ঠিক সেই সময় গুলোতে তিনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে সার্বক্ষনিকভাবে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুঠিয়া উপজেলায় মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

নির্বাচনে সমন্বিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমানে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা-এর পক্ষে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফজলে রাব্বি মুরাদ ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পুঠিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সফল সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১১ সালের ১৭ ই এপ্রিল রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ এর সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন তবে বয়স ২৯ বছর অতিক্রম হওয়ার কারনে তিনি কমিটিতে আসতে পারিনি।

তিনি পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। তার পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়ে সকলে পুঠিয়া উপজেলাসহ ও এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দূদিনে দলের জন্য নিরালস ভাবে কাজ করেছেন।

তার পিতা নুরুল হক, প্রাক্তন শিক্ষক, বেলপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সাবেক সভাপতি, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ২ নম্বর বেলপুকুরিয়া ইউনিয়ন শাখা উপদেষ্টা সদস্য, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

ছোট ভাই ফজলে এলাহী সদস্য, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ। তার বড় মামা আঃ আজিজ প্রাক্তন শিক্ষক, বেলপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ-সভাপতি, ২ নম্বর বেলপুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ । তার মেজো মামা মৃত মজিদ মাষ্টার প্রাক্তন শিক্ষক, বেলপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সাবেক সভাপতি, ২ নম্বর বেলপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও উপদেষ্টা সদস্য, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

করোনা মহামারিতে সার্বক্ষনিক সাধারণ জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। পাশাপশি নিজ উদ্যোগে বেলপুকুরিয়া ইউনিয়ন বাসীকে সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করার অব্যহৃত রাখার চেষ্টা করেছে। এছাড়াও এলাকার যুবকদের নিয়মিত খেলাধুলার সামগ্রী ও বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু বেলপুকুর ইউনিয়নে নয় গোটা পুঠিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফজলে রাব্বি মুরাদ বলেন, আমি সেই ছাত্র জীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন ভ্যানগার্ড হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। আওয়ামীলীগের দুর্দিন দু:সময়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অবিচল থেকেছি।

আমার বিশ্বাস এবার আওয়ামী লীগ থেকে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মুল্যায়ন করা হবে। দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে বেলপুকুর ইউনিয়নকে একটি ডিজিটাল মডেল ইউনিয়ন হিসাবে উপহার দেবেন বলেও জানান তিনি। এটিই হবে রাজশাহীর অন্যতম স্বনির্ভর ও সম্মৃদ্ধশালী ইউনিয়ন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে