মান্দার প্রসাদপুর ইউনিয়ন ভোটের মাঠে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১; সময়: ৭:০৬ অপরাহ্ণ |
মান্দার প্রসাদপুর ইউনিয়ন ভোটের মাঠে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রাম, পাড়া ও মহল্লা। দ্বারে দ্বারে গিয়ে উন্নয়নমুলক কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক প্রার্থী ভোটারদের কব্জায় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে আবার দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লবিং ও তদবিরে।

তবে সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা এবার ভিন্ন-ভিন্ন কৌশল নিয়ে ভোটের মাঠ দখলের চেষ্টা করছেন। গণসংযোগের সময় এলাকাভিত্তিক ছোটখাটো সমস্যাগুলো তাৎক্ষনিকভাবে নিরসন করে দিচ্ছেন। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তায় ভাংড়ী ইট ও রাবিশ ফেলে সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। পাইপ দিয়ে নিরসন করে দেওয়া হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এরই মধ্যে পাড়ার মোড়ের চায়ের ষ্টলগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে জমজমাট আলোচনা।

জানা গেছে, উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে প্রসাদপুর ইউনিয়নের অবস্থান ৭ নম্বরে। ১৪টি গ্রাম নিয়ে এ ইউনিয়ন গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ২৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৯২৭ জন ও নারী ভোটার ১০ হাজার ৩০৯ জন।

এ ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খাঁন, সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন সরকার ও পরিমল কুমার রায়, আব্দুল মতিন, মোয়াজ্জেম হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ও রোকনুজ্জামান গণসংযোগ করছেন।
এদের মধ্যে বেলাল হোসেন খান ও আব্দুল মতিন (বিএনপি) এবং জামায়াতের মোয়াজ্জেম হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

অন্যদিকে গণসংযোগের পাশাপাশি সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন সরদার, সাবেক চেয়ারম্যান পরিমল কুমার রায়, প্রসাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রসাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ রোকুনুজ্জামান নৌকার মাঝি হতে লবিং ও দৌঁড়-ঝাঁপ করছেন।

চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খাঁন বলেন, গতবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছি। নির্বাচিত হওয়ার পর সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ সরকারের সকল সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া চেষ্টা করছি। আমি আশাবাদী এবারের নির্বাচনেও জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।
সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন সরদার জানান, গতবার নৌকা প্রতিক পেলেও কিছু ভুলের কারণে বিজয়ী হতে পারিনি। এবারে নৌকা প্রতিক পেলে অবশ্যই বিজয়ী হব।

সাবেক চেয়ারম্যান পরিমল কুমার রায় বলেন, দলীয় প্রতিক নৌকার জন্য দৌঁড়-ঝাঁপ করছি। পাশাপাশি গণসংযোগও চলছে। প্রতিক না পেলে যিনি পাবেন তাঁর পক্ষে কাজ করব।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুল মতিন বলেন, দল নির্বাচনে অংশ না নিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছে রয়েছে। গতবারের নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছি। এর পরও জনগণের সঙ্গে মাঠেই রয়েছি। ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত কুশল বিনিময় করছি। এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

জামায়াতের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছি। গত নির্বাচনে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে। গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গণসংযোগ করছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে জনগণ ভোট দিয়ে তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দার্র্য়িত্ব পালন করেছি। এরপর প্রসাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদেও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। এ কারণে ইউনিয়নের আনাচে-কানাচে আমার পরিচিতি রয়েছে। দীর্ঘদিন গণসংযোগও করছি। দল মনোনয়ন দিলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

তরুণ প্রার্থী রোকুনুজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমি প্রসাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছি। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। তরুণ প্রার্থী হিসেবে আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি। দলীয় মনোনয়ন পেলে নেতাকর্মিদের সঙ্গে নিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে কাজ করব। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমি কিছুই করব না।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে