রাজশাহীতে ছাত্রের মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে শিক্ষক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১; সময়: ১১:২৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে ছাত্রের মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর ভদ্রা চকপাড়ায় অক্ষর একাডেমি স্কুলের পরিচালক রাকিব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্র ও তার মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দুপুরে পদ্ম আবাসিকের চকপাড়ায় অবস্থিত ওই স্কুলের একটি ক্লাস রুমে আটকে রেখে তাদের পেটানো হয়; যাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অক্ষর একাডেমির পরিচালক রাকিবকে আসামী করে ছাত্র অনিকের মা আরএমপি চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী ভদ্রা চকপাড়া অক্ষর একাডেমির শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন অনিক। সে চন্দ্রিমা থানার উত্তরচকপাড়া এলাকার আলমগীর কবির সুমনের ছেলে। মিনহাজ উদ্দিন অনিক অক্ষর একাডেমি থেকে এ বার এসএসসি পরীক্ষার্থী। এছাড়াও অনিক অক্ষর একাডেমির পরিচালক ও শিক্ষক রাকিব উদ্দিনের কাছে প্রাইভোট পড়েন।

বুধবার দুপুরে অনিক প্রাইভেট পড়তে অক্ষর একাডেমিতে যান। সেই সময় হটাৎ তার ফোনে এসএমএস বেজে উঠে। ওই সময় তার প্রাইভেট শিক্ষক রকিব উদ্দিন তাকে ফোন নিয়ে ক্লাসে কেন বলে বকা বকি করে। এসময় অনিক এসএসএম এর সাউন্ড বন্ধ করতে পারেনি বলে শিক্ষক রাকিবকে বলেন। এ কথা শুনেই রাকিব উদ্দিন তার বাড়ি থেকে রুটি বানানো বেলনা নিয়ে এসে বেদম মারপিট করে আহত করে।

বিষয়টি অনিক মোবাইল ফোনে তার মা জাফরিন সুলতানা জলিকে জানান। সাথে সাথে অনিকের মা স্কুলে হাজির হয়ে শিক্ষক রাকিবের কাছে জানতে চাই তার ছেলেকে কেন লাঠি দিয়ে মেরে আহত করেছেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রাকিব অনিকের মা জাফরিন সুলতানা জলিকে মারপিট করে। এতে সেও গুরুতর আহত হন। পরে অনিক ও অনিকের মা গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।

অনিকের পরিবারের সদস্যরা জানায়, অনিক অক্ষর একাডেমি থেকে এসএসসি পরিক্ষা দিবে। তাই তাকে সেই স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালন রাকিবের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য গিয়েছিল। প্রাইভোট পড়ার সময় মোবাইল রাখার দায়ে অনিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। এর প্রতিবাদ করায় তার মাকেও চুলের মুটি ধরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

নগরের চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন, ঘটনায় ছাত্র ও শিক্ষকের পক্ষ পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে