সুজানগরে আ.লীগের ১০ প্রার্থীর বিপরীতে ভোটযুদ্ধে বিদ্রোহী ২০ জন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১; সময়: ৯:২৩ অপরাহ্ণ |
সুজানগরে আ.লীগের ১০ প্রার্থীর বিপরীতে ভোটযুদ্ধে বিদ্রোহী ২০ জন

এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : দ্বিতীয় ধাপে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ২০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়ে গেছেন। উপজেলার ১০টি ইউপির সবকটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেই আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মূলত আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভূমিকায় আছেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আ.লীগের কমিটিতে থাকা নেতাদের অনেকেই রয়েছেন।

এই নির্বাচনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট ৪৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। যাচাই-বাচাইয়ে ৪৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ হয়। এর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত ১০ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ০৪ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন এবং আ.লীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে ২৯ জন।গত মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১০ ইউনিয়নে মাত্র ০৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। এবং তারা সবাই আ.লীগের বিদ্রোহী ছিলেন।

যারা মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরের ভাই আহমেদ ফেরদৌস কবির,দুলাই ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম, আহম্মদপুর ইউনিয়নে স্বপন মিয়া ও মাজহারল ইসলাম,সাগরকান্দি ইউনিয়নে খান মো. গোলাম রসুল , মানিকহাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এ এস এম আমিনুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ মজিবর রহমান এবং হাটখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও ফজলুল হক। বাকি ২০ জন বিদ্রোহীই নির্বাচনে রয়ে গেলেন।

বিদ্রোহী হিসেবে যারা রয়ে গেছেন তারা হলেন নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ শেখ ও টিপু মুন্সী,ভাঁয়না ইউনিয়নে ওমর ফারুক, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে আবুল হোসেন, মানিকহাট ইউনিয়নে আব্বাস উদ্দিন মল্লিক, হাটখালী ইউনিয়নে ফিরোজ আহম্মেদ, আজহার আলী,কাজী মোজ্জাম্মেল হোসেন ও ওমর ফারুক, সাগরকান্দি ইউনিয়নে তৈয়ব আলী, জাকির হোসেন, টিপু সুলতান, তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক রাজা।

দুলাই ইউনিয়নে সাইদুর রহমান, আহম্মদপুর ইউনিয়নের হীরা ও আশরাফুল আলম এবং রাণীনগর ইউনিয়নে টুটুল কাজী অন্যতম। আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা হলেন নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে মো.মশিউর রহমান খান, ভাঁয়না ইউনিয়নে আমিন উদ্দিন, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে এস এম সামছুল আলম, মানিকহাট ইউনিয়নে শফিউল ইসলাম, হাটখালী ইউনিয়নে আব্দুর রউফ, সাগরকান্দি ইউনিয়নে শাহীন চৌধুরী, তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে আব্দুল মতিন মৃধা, দুলাই ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, আহম্মদপুর ইউনিয়নে কামাল হোসেন মিয়া ও রাণীনগর ইউনিয়নে জিএম তৌফিকুল আলম পীযূষ।

আর বিএনপি দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুর রউফ তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। আর নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৯৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের ৩৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জন পদপ্রার্থী তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এবং ভাঁয়না ইউনিয়নের সংরক্ষিত ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড এবং ০৯ সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন প্রার্থী ।

এদিকে বুধবার(২৭ অক্টোবর) প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারের মাঠে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১০টিতেই জয় পেয়েছিল আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে