স্ত্রীকে সিগারেট ও কয়েলের আগুনের ছ্যাঁকা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীতে শিউলি আক্তার মিতা নামে এক গৃহবধূকে সিগারেট ও কয়েলের আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মমিন আলীর বিরুদ্ধে।

বুধবার নির্যাতিত ওই গৃহবধূ পালিয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খাকড়াদহ এলাকায় বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই ঘটনা গুরুদাসপুর থানায় না ঘটায় মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ।

নির্যাতিত শিউলি আক্তার জানান, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে তার নেশাগ্রস্ত স্বামী নেশার টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় ঢাকায় ভাড়া বাসায় তার দুই হাত খাটের সাথে বেঁধে জোরপূর্বক ডান হাত ও বাম হাতের ২১ জায়গায় সিগারেট ও কয়েলের আগুনের ছ্যাঁকা দেয়।

তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে আজ দুপুরে তিনি নিজের গ্রামে পালিয়ে যান। শিউলি আক্তারের বাবা মোনতাজ সরদার জানান, ৫ বছর আগে তার মেয়েকে দাদুয়া গ্রামের জলিলের ছেলে মোমিনের সাথে বিয়ে দেন। সংসার করার দুই বছর পর তাদের ঘরে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে।

বাচ্চা জন্মের পর থেকেই তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার মেয়ের সঙ্গে এমন বর্বর নির্যাতনের বিচার চান তিনি।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, ঢাকার ভাড়া বাসায় তার স্বামী তাকে নির্যাতন করেছে বলে দাবি করেছেন শিউলি আক্তার। ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানকার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে হবে।